মুশফিক ওয়াদুদ: আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস র্চা নিয়ে আমার বড় একটি অভিযোগ হচ্ছে, এটি জাতীয়তাবাদী রোগে আক্তান্ত। অনেক ক্ষেত্রেই ইতিহাসবিদদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আবেগ অনুভূতির প্রভাব থাকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে। কিন্তু ইতিহাস হতে হবে নির্মোহ, নিরপেক্ষ যেখানে ইতিহাসবিদের আবেগ অনুভূতি প্রাধান্য পাবে না। ইতিহাসবিদ ইতিহাসে পাকিস্তানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করবেন না কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ কেন পাকিস্তান কে ঘৃণা করেন, তার অনুসন্ধান করবেন এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পূর্ণাঙ্গ না। যেমন বিহারীদের মুক্তিযুদ্ধের পর কি পরিণতি হলো, আমরা তাঁদের সাথে ঠিক কি ধরণের আচরণ করলাম এই বিষয়টি ইতিহাস থেকে অনেকটাই ব্লাক আউট। বিহারীদের মধ্যে যেহেতু শিক্ষার সুযোগ কম, তারাও তাঁদের ইতিহাস লিখছেন না।
আমার মুক্তিযুদ্ধের যে ইতিহাসটির প্রতি আগ্রহ সেটা হলোÑ পাকিস্তানে আটকে পরা বাঙালি। ২০১৮ সালের ডনের একটি রিপোর্ট বলছে, করাচিতে প্রায় ২০ লাখ বাঙালি বসবাস করেন। ধারণা করি তারা অথবা তাদের পিতামাতা রা যুদ্ধের আগে পাকিস্তানে বসবাস করতেন পরে আর ফিরতে পারেন না অথবা চাননি। কিন্তু ঠিক কেন ফিরতে পারেননি অথবা ফিরতে চাননি অথবা বাংলাদেশ থেকে তাদের ফেরানোর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে আমাদের ইতিহাসে কিছু নাই।
পাকিস্তানের অবশ্য দাবি তাদের বেশিরভাগই মুক্তিযুদ্ধের পর গিয়েছে। যদি সেটাও হয়ে থাকে তাহলে একটি স্বাধীন দেশ ফেলে কেন এবং কী পরিস্থিতিতে বাঙালিরা পাকিস্তানে স্থায়ী বসবাসের জন্য গেলেন, সেটা নিয়েও আলোচনা হওয়া উচিত। ফেসবুক থেকে