আল আমিন: [২] শরীয়তপুর জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক স্মৃতিস্তম্ভের অসমাপ্ত কাজের উপর শেওলা পড়ে জরাজীর্ন অবস্থায় আছে এখন। তাদের দাবী সরকার অর্থ বরাদ্ধের মাধ্যমে অতি বিলম্বে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ফলক সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শেষ করা হোক।
[৩] গণপূর্ত বিভাগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাউন্ডারির ভিতরে শরীয়তপুর গণপূর্ত প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি প্রকল্পের আওতায় ১১লাখ ৩৯হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে শরীয়তপুর জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নামফলক সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করে।
[৪] ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাহবুবুর রহমান ভূইয়া সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এ কাজ শুরু করে। ৮লাখ ৩৯হাজার টাকা ব্যয়ে পুরো কাজের প্রায় ৫৫ ভাগ কাজ শেষ হতে না হতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর সরকার পরিবর্তন হওয়ায় নুতন করে এ প্রকল্পের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্ধ না দেয়াতে দীর্ঘ ২০ বছরে ও এ কাজটি শেষ করা সম্ভব হয়নি।
[৫] অসমাপ্ত কাজে শেওলা পড়ে জরাজীর্ন অবস্থা এখন। সেখানে প্রতিবেশী লোকজন গাছ রোপন করেছে।
[৬] গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সালেহ মোঃ ফিরোজ বলেন, স্মৃতিস্তম্ভের কাজ শুরু হয়েছিলো, কিছুদিন কাজ চলার পর বরাদ্ধের অভাবে ঐ কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং ঐ প্রকল্পের মেয়াদ ও শেষ হয়ে যায়। পরে মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি। তাই অর্থ বরাদ্ধ না থাকার কারণে ফলক সম্বলিত স্মৃতি স্তম্ভের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।
[৭] শরীয়তপুর সদর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডর বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ সিকদার বলেন, সারাদেশের সব জেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ আছে। আমাদের জেলার কাজটি শুরু করে মাঝ পথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা : জাহাঙ্গীর