বগুড়া প্রতিনিধিঃ [২] জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পল্লী এলাকায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা না নিয়ে তাকে হেনস্তা করে যৌনকর্মী হিসেবে আদালতে চালান দেওয়ায় শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
[৩] গত রোববার (১৩ ডিসেম্বর) শিবগঞ্জ উপজেলার জান গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা বেগম। বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আসামি করা হয়েছে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রতন কুমারকে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে তদন্তের জন্য বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
[৪] মামলার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সিহালী ফকিরপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে কলেজছাত্র রামিম হাসান রিমনের সঙ্গে বাদীর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রিমনের পরিবার রাজি না থাকায় বাদী তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়। বিয়ের পরও রিমন বাদীর মেয়ের সঙ্গে ফোনে সম্পর্ক অব্যাহত রাখেন। গত ২৪ নভেম্বর স্বামী বাড়িতে না থাকায় রিমন বাদীর মেয়ের বাড়িতে ঢোকে এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় পিরব ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বাড়িতে ঢুকে রিমন ও বাদীর মেয়েকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।
[৫] খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার রায় দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় রিমনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করতে চাইলে পুলিশ তা নেয়নি। পরে দুই জনকে দণ্ডবিধির ২৯০ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়। তবে আদালত দুজনকে জামিনে ছেড়ে দেন। বাদীর অভিযোগ এসআই রতন কুমার রায় ১০ হাজার টাকা নেওয়ার পরেও ধর্ষণচেষ্টার মামলা না নিয়ে তার মেয়েকে পতিতা হিসেবে চালান দিয়ে সমাজে তাদের সম্মান নষ্ট করেছেন। এ কারণে মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।’
[৬] বাদীর আইনজীবী মোঃ আব্দুল বাছেদ এ প্রতিবেদক-কে বলেন, ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজত মৃত্যু নিবারণ আইনের ১৩ ও ১৫ ধারা অনুযায়ী নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ