শিরোনাম
◈ পক্ষপাতমূলক আচরণে বিএনপির সন্দেহের তালিকায় উপদেষ্টারা কারা ◈ ত্রিপুরায় তিন বাংলাদেশি নাগরিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের ◈ রাকসুতে কে কোন পদে জিতলেন ◈ তোমার মাথার দাম ১০ কোটি, ফোন করে বলেছিল আমাকে : সালাউদ্দিন আম্মার ◈ এবার ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে সিআইএকে অনুমোদন ট্রাম্পের ◈ ইরানের নতুন ড্রোন 'আরশ-২' ইসরাইল-আমেরিকার যেকোনো ঘাঁটি ধ্বংসের সক্ষমতা! ◈ ‌দে‌শের রাজনী‌তি চল‌ছে কোন প‌থে,  নিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি কি সরকারের মুখােমুখি? ◈ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের বিরুদ্ধে মামলা, হতে পারে জেল ◈ ব্রা‌জিল নভেম্বরে সেনেগাল ও তিউনিশিয়ার বিরু‌দ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ◈ আগামী বছরের টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি বিশ্বকাপের ২০ দল চূড়ান্ত, শেষ জায়গা দখল করলো কারা? 

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১০:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিয়োগে অনিয়ম: নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় সচিবসহ পাঁচজনকে আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি

নূর মোহাম্মদ: আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করায় প্রতিরক্ষা সচিব (তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক) ড. আবু হেনা মো. মোস্তফা কামালসহ পাঁচজনকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আদালতের আদেশ অমান্যের দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এনটিভি

আদালত অবমাননা সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে আজ সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে তলব করা অপর চারজন হলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রমজান আলী, গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম ও গাইবান্ধার সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এই পাঁচজনকে আজ ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিক মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। কিন্তু তাঁকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিউটি বেগম নিয়োগ না পেয়ে গাইবান্ধার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় প্রথমস্থান অর্জনকারী বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। পরে বিষয়টি হাইকোর্টে এলে সেখানেও একই আদেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নাজমা সুলতানা।

পরে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট আপিল বিভাগ নাজমা সুলতানার আবেদন খারিজ করে ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন।

কিন্তু, আপিল বিভাগের আদেশের পরও নিয়োগ না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করেন বিউটি বেগম। আদালত সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। কিন্তু সেই রুলেরও কোনো জবাব দেননি সংশ্লিষ্টরা। তাই নির্দেশ অমান্য করার ব্যাখ্যা চেয়ে পাঁচজনকে তলব করেন আপিল বিভাগ। ব্যাখ্যায় ক্ষমা চেয়ে আবেদন করায় আদালতের আদেশ অমান্যের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান ওই পাঁচজন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়