শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:৩১ সকাল
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:৩১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোলাম মোর্তোজা: জনগণের মাঝে ভাস্কর্যবিরোধীদের কোনো অবস্থান নেই

গোলাম মোর্তোজা: সরকারের অন্যায় অনিয়ম, দুর্নীতি, নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলি। আপনাদের লোক হিসেবে ভেবে নিচ্ছেন। ভাবেন, তাতে ক্ষতি নেই। এখন যা করছি, তা বিএনপির ক্ষমতাকালেও করেছি। একটু বেশি ছাড়া কম নয়। এখনকার ক্ষমতাসীনরা তখন আপনাদের মতো করেই ভাবতেন। আপনাদের মতামতকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু কে কী ভাবলেন,তার উপর নির্ভর করে কথা বলি না। যেটা সত্য এবং সঠিক বলে মনে করি বিশ্বাস করি সেটা বলি। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে বসবাসরত সকল নাগরিকের দেশ বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে যারা এ দেশের জন্মের বিরোধিতা করেছিল, দেশটা তাদেরও। অস্বীকার করি না। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতাকারীদের ক্ষমা চেয়ে পরিশুদ্ধ হওয়া প্রয়োজন ছিল। তা তারা হয়নি। যে মূলনীতির উপর ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধ তা মনেপ্রাণে ধারণ করে নিতে পারলেই, তাদের অধিকারবোধ পূর্ণতা পেতে পারে। বাংলাদেশ ধর্মভিত্তিক দেশ নয়। শুধু মুসলমানের দেশ নয়। শুধু বাঙালির দেশ নয়। সাঁওতাল, চাকমা, মারমার বাঙালি নয়, এ দেশের নাগরিক। দেশটা তাদেরও।
আমরা মুসলমানরা এ দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ। সংখ্যায় যারা কম সেই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, সাঁওতাল,গাঢ়ো, চাকমা, মারমা সবাই এ দেশের নাগরিক। একজন মুসলমান হিসেবে আমার আপনার যতোটা অধিকার, একজন সাঁওতাল , চাকমা, মারমার অধিকারও ঠিক ততোটাই। যারা সংখ্যায় কম ও পিছিয়ে আছে, তাদের এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব সংখ্যাগরিষ্ঠের-নিপীড়ন করা নয়। এ দেশে মসজিদ থাকবে। মুসলমানের সংখ্যা বেশি,মসজিদের সংখ্যাও বেশি থাকবে। থাকবে মন্দির থাকবে গির্জা। থাকবে ভাস্কর্য,থাকবে মূর্তি। একাত্তরের গণহত্যা ও নারী নিপীড়ন নিয়ে কথা বলেন না। সৌদি আরব ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ বিকিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতা করছে, তা নিয়ে আপনাদের কোনো বক্তব্য নেই। বিক্ষোভ নেই। আপনারা আছেন ভাস্কর্যের বিরোধিতা নিয়ে। বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে বহু বীরের রক্তে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। সেই দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থাকবে। জাতীয় চার নেতার ভাস্কর্য থাকবে। সেক্টর কমান্ডারদের ভাস্কর্য থাকবে। ভাস্কর্য থাকবে জাতির গর্বিত সন্তানদের। ভাস্কর্যকে আপনি মূর্তি ভাবতে চাইছেন, চাইতেই পারেন। আপত্তি নেই, আপনাকে বোঝানোর দায়িত্বও নিচ্ছি না। শুধু বলছি,বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এ দেশে নির্মিত হবে। অপরাজেয় বাংলা যুগ যুগ ধরে শক্তি যুগিয়ে যাবে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের বিরোধিতা করে সফল হননি। ১৯৯৭ সালে শিখা চিরন্তণের বিরোধিতা করে সফল হননি। ২০২০ সালে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করেও সফল হবেন না। এই বিরাধিতার কবর রচিত হয়েছে ১৯৭১ সালে। ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার নীতিতে ক্ষমতাসীনদের থেকে সুযোগ-সুবিধা,পৃষ্টপোষকতা পাচ্ছেন। জনগণের মাঝে আপনাদের কোনো অবস্থান নেই। আর সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে আরও কঠিন দিন বিএনপির জন্য অপেক্ষা করছে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়