রাশিদুল ইসলাম : [২] মার্কিন প্রশাসনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা সিএনএন’এর কাছে এমন দাবি করলেও ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টি আগেই জানত কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকার করেন। সিএনএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি কর্মকর্তা বলেন, অতীতে বহুবার ইসরায়েল তাদের লক্ষ্য এবং অপারেশন চালানো সম্পর্কে নানা তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শেয়ার করেছে কিন্তু এ দফায় তা করেছে কি না তিনি তা বলে নি। ইরানের এ পরমাণু বিজ্ঞানীকে বহু আগে থেকেই টার্গেট করা হয়েছিল।
[৩] সিএনএন’র প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পাম্পেওকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, ইরানের ওপর আগামী দুই মাস সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি জোরদার করতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তা আরো বলেন, ইরানি বিজ্ঞানী হত্যার ঘটনা তেহরানের সঙ্গে জো বাইডেনের নতুন প্রশাসনের কূটনৈতিক তৎপরতা শুরুর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
[৪] সিএনএন এও বলছে ফাখরিজাদের হত্যাকাণ্ডের পর দেশটির জনগণের মধ্যে ‘ব্যাপক ক্ষোভ’ বিরাজ করছে। সিএনএনের সিনিয়র প্রতিবেদক ফ্রেডেরিক পেল্টন বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ইরানের প্রশাসনযন্ত্রের ক্ষোভের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ পাচ্ছে এবং বাস্তবতা হচ্ছে, সাধারণ জনগণও তাদের পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছে।
[৫] তেহরানে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পেল্টন বলেন ইরানিরা ব্যাপকভাবে মনে করছে, ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলের হাত রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কোনো কোনো মিত্রের সমন্বয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এই পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে।
[৬] এর আগে আরেক সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তার উল্লেখ করে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, এই হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলের হাত থাকার ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই।