জাহিদ হোসেন: [১] ২৪ ঘণ্টায় পিসিআর রেজাল্ট দেয় এমন এক সেন্টার থেকে টেস্ট করে তিন কপি সার্টিফিকেট সঙ্গে নিলাম। চেক ইন করার সময় এক কপি রেখে দেবে মনে করেছিলাম, কিন্তু ফেরৎ দিয়ে দিলো। এয়ারপোর্টে দেখলাম, বেশ ভিড়। তবে তা থ্যাঙ্কস গিভিংয়ের ছুটির কারণে। শতকরা একশ ভাগ মাস্ক পরা, তাদের মধ্যে ২০ ভাগের আমি সহ মুখে ফেস শিল্ড।
[২] চেইক ইন, সিকিউরিটি চেক, বোর্ডিং এর সময়ে অন্যের সঙ্গে ৫/৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা গেছে দোহা পর্যন্ত । দোহায় বোর্ডিং লাইনে সামনের জনের থেকে দূরত্ব রেখে দাড়িয়ে আছি। পেছনে ঘাড়ের কাছে একজন বলে উঠলেন, ‘আগান না ক্যান, সামনে তো ফাঁকা’। প্লেনে ওঠা, বসা, নামা সব বরাবর যেমন হয় তেমন। তাদের দোষ দিই না। এতোদিন হয়ে গেলো। সরকারের উচিত প্রবাসী শ্রমিক ভাইবোনদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। এয়ারলাইন্সসহ যারা তাদের কাছ থেকে লাভবান হচ্ছে, তাদের সবার কাছ থেকে এই বাবদ টাকা কেটে নিয়ে হলেও এই প্রশিক্ষণ দেওয়াটা জরুরি। জানি অনেকদিন পর দেশে আসার সময় আবেগ কাজ করে অতিরিক্ত। কিন্তু এটাও তো জানতে হবে যে, তাড়াহুড়া করলেই এক মিনিট আগেও ঢাকা পৌঁছানো যাবে না বা প্লেন থেকে নামা যাবে না।
[৩] ঢাকা এয়ারপোর্টে এসে ‘সারা রাস্তা দৌড়াদৌড়ি, খেয়াঘাটে গড়াগড়ি’ অবস্থা। ফরম পূরণ, কভিড-১৯ সনদ জমা দান, ইমিগ্রেশন, লাগেজ কালেকশন সেরে গাড়িতে উঠতেই গুণে দেখলাম, এই ধকলে অন্তত এক বছর আয়ু কমে গেছে। সেই ১৯৯৯ সাল থেকে এই বন্দর ব্যবহার করছি। দুঃখের কথা, মূল ব্যবস্থাপনার সিগ্নিফিকেন্ট কোনো উন্নতি হয়নি।
[৪] দেশে ঢোকার সময়েও ইমিগ্রেশনে ডিপারচার কার্ড পূরণ করে জমা দিতে হলো। এটা আগে ছিলো না। অফিসার জানালেন কোভিডের কারণে এই নিয়ম।
[৫] বাসায় ফেরার পথে দেখলাম শতকরা নব্বই ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। যে দশ ভাগের আছে তাদের আবার নব্বই ভাগের হয় গলায় নয় নাকের নিচে।
[৬] সেলফ কোয়ারেন্টাইনে আছি। মাঝে মাঝে বেলকনিতে যাচ্ছি। মানুষ দেখছি। মনে হচ্ছে সারা দুনিয়া যে কভিড-১৯ ফ্রি অবস্থার জন্য অপেক্ষায়, আমাদের এখানে তা এসে গেছে। হোয়াট বেঙ্গল ডাজ টুডে, আদারস ডু টুমরো।
[৭] বায়োলজিক্যাল ক্লক রিএডজাস্টমেন্ট চলছে। ফেসবুক থেকে