ইসমাঈল ইমু: [২] বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত ভিআইপি বন্দিরা গ্রেপ্তারের পর থেকে দীর্ঘদিন নানা অজুহাতে হাসপাতালেও থাকলেও এখন তারা সকলেই কারাগারে। সর্বশেষ ক্যাসিনো কান্ডে জড়িত জি কে শামীমকেও হাসপাতাল থেকে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
[৩] এসব বন্দিরা এক সময় হাসপাতালে থেকেই টেলিফোন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে চালিয়েছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে কারা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এসব অপরাধীদের কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
[৪] কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারাগার থেকে বারবার তাগিদ দিলেও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের ‘ছাড়পত্র’ না পাওয়ায় তাদের কারাগারে নেয়া যাচ্ছিলনা। যারা হাসপাতালে ছিলেন তারা আদৌ অসুস্থ্য কি না তা জানা গেলেও আদালতের নির্দেশনার কারণে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বর্তমানে কোনো বন্দি চিকিৎসার নামে হাসপাতালে নেই।
[৫] কারা সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এসব বন্দি চিকিৎসার নামে আয়েশী জীবন যাপন করতেন।
[৬] কেরাণীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বন্দিরা কারা হাসপাতাল এবং বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে কারাগারে ফেরত আনতেও হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শে আনতে হয়। এক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের কিছুই করার ছিলনা। কারা চিকিৎসক বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি কারাগারেই চিকিৎসার সুব্যবস্থা করায় কাউকে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছেনা। তবে জটিল রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব