রাঙামাটি প্রতিনিধি : [২] উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি।
[৩] সভার আলোচ্য বিষয় ছিল গত ১৬ আগস্ট, ২০২০ অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন এবং ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের অক্টোবর ২০২০খ্রি. পর্যন্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা, এবং বিবিধ আলোচনা। সভাপতির অনুমতিক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য সচিব ও সদস্য প্রশাসন আশীষ কুমার বড়ুয়া (যুগ্মসচিব) সঞ্চালনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম নিজামী (অতিরিক্ত সচিব) বোর্ডের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন। অতঃপর এজেন্ডা অনুযায়ী রাঙামাটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন অবতরণ ঘাটের পাশের্^ বোর্ডের নৌযান রাখার জন্য জেটি ঘাট নির্মাণ, তিন পার্বত্য জেলায় হেডম্যান কার্যালয় নির্মাণ ও মডেল পাড়াকেন্দ্র নির্মাণ, উঁচুভূমি বন্দোবস্তিকরণ প্রকল্প অগ্রগতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাস্টার প্লান তৈরী বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
[৪] পরবর্তীতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত সময়ে পর্যায়ক্রমে গাভী পালন, বাঁশ প্রকল্প, উচ্চমূল্যের মসলা চাষ, কমলা ও মিশ্র ফল চাষ, তিন পার্বত্য জেলায় গ্রামীণ সড়ক ও পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, রাঙামাটি বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ সড়ক, খাগড়াছড়ি বিভিন্ন উপজেলার নেটওয়ার্ক ও মাস্টার ড্রেইন, সাংগু নদী সোনা খালের উপর ২টি ব্রীজ নির্মাণ, বান্দরবান রুমা-রোয়াংছড়ি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সকল প্রকল্প পরিচালক এবং নির্বাহী প্রকৌশলীগণ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
[৫] মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ (উপসচিব), সদস্য বাস্তবায়ন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ১ কোটি টাকার ব্যয়ে বাস্তবায়িত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর আওতাধীন জেলাসমূহের অফিস বিল্ডিং এ নবায়নযোগ্য শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান যে, প্রকল্পটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রধান কার্যালয়ে সোলার প্যানেল স্থাপনের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে সোলার বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে চলে এবং প্রতি মাসে প্রায় ৭০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে।
[৬] সভাপতি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে এই প্রথম সম্পূর্ণরূপে সোলার বিদ্যুৎ আওতায় আনা হয়েছে এবং এর ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড একটি “স্মাট অফিস” হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করেছে।