সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রাজউক বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাসহ এ সকল নীতি-নির্ধারণী বিষয় প্রণয়ন করবে এবং সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নে করপোরেশন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সুতরাং দুটি সংস্থা একটি আরেকটির পরিপূরক, এখানে সাংঘর্ষিক কিছু নাই। তাই পরিপূর্ণতার জন্য আমাদের সমন্বয় প্রয়োজন। সমন্বয়টা আরও সুন্দরভাবে, সুষ্ঠুভাবে করতে পারলেই কিন্তু আমরা ঢাকাবাসীর আশা-আকাঙ্খা পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারবো।
[৩] তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে যে সকল অভিযোগ উপস্থাপিত হয়েছে, তাদের সেসব বক্তব্য নতুন করে যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেখানে সন্নিবেশ হবে এবং রাজউক সফলভাবে একটি পরিপূর্ণ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারবে।
[৪] সোমবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ডিটেল এরিয়া প্ল্যান নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সঙ্গে রাজউকের মতবিনিময় সভা শেষে ডিএসসিসি মেয়র তাপস এ মন্তব্য করেন।
[৫] রাজউকের নিয়ন্ত্রণে থাকা খেলার মাঠ, শিশু পার্ক ও জলাশয়গুলো ডিএসসিসি কাছে হস্তান্তর করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, ঢাকাকেন্দ্রিক বিশেষ কয়েকটি বিষয় যেমন খেলার মাঠ, শিশুপার্ক, জলাশয় এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন সিটি করপোরেশনের কার্যাবলীর মধ্যে পড়ে। রাজউক খেলার মাঠ পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব না। এ দায়িত্ব হলো দক্ষিণ সিটি করপোরেশনর।
[৬] মেয়র বলেন, তেমনি জলাশয় পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। একইভাবে শিশু পার্ক, বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত স্থান পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সুতরাং এই সংক্রান্ত যে জরিপগুলো আপনাদের কাছে আছে বা যে এলাকাগুলো আপনারা চিহ্নিত করেছেন, সেগুলো যদি আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন, তাহলে আমরা ঢাকাবাসীর কল্যাণে সেগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারবো।
[৭] এ সময় রাজউক চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম বলেন, জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোন কিছুই টেকসই করা সম্ভব না। এতদিনের যে পরিকল্পনা ছিল, এখানে বসে অনুভব করলাম, বুঝতে পারলাম যে, জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া অনেক কিছুই হয়ে গেছে ইতোপূর্বে। যে কারণে সেগুলো টেকসই করা সম্ভব হয়নি।
[৮] তিনি আরও বলেন, যদিও বলা হচ্ছে যে, এর আগেও আমরা জনগণের সঙ্গে ইন্টারেকশন করেছি। কিন্তু আজকে আমার মনে হচ্ছে যে, খুব গভীরভাবে, বিস্তারিতভাবে, শাখা-প্রশাখায় প্রসারিত হয়ে প্রত্যেকটা সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
[৯] সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমান উল্লাহ নূরী বক্তব্য রাখেন। মতবিনিময় সভায় রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) আজহারুল ইসলাম খান, ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: রায়হান রাজীব