এইচ এম মিলন: [২] মাদারীপুরের কালকিনিতে যৌতুকের দাবিতে মিলি খানম (২২) নামে এক গৃহবধুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী গৃহবধু কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। বুধবার (১৪ অষ্টোবর) সকালে ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলা সুত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
[৩] ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানাগেছে, পৌর এলাকার পশ্চিম শিকারমঙ্গল গ্রামের লোকমান ফরাজীর মেয়ে মিলি খানমের সঙ্গে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর এলাকার বাকাই গ্রামের আবুল হোসেন পালোয়ানের ছেলে রাশেদুল ইসলামের প্রায় ৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছর পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে।
[৪] এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় স্বামী রাশেদুল স্ত্রী মিলি খানমকে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু মিলির পরিবার অতি দরিদ্র হওয়ায় দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। এতে করে যৌতুক লোভী রাশেদুল ক্ষিপ্ত হয়ে মিলি খানমকে প্রচন্ড মারধর করে এবং ভাত-কাপড়ে কষ্ট দিতে থাকে।
[৫] এ নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মিলি খানম তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বর্তমানে তার দরিদ্র বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। এ নির্যাতনের ঘটনায় মিলি খানম বাদি হয়ে মাদারীপুর কোর্টে স্বামী রাশেদুল ইসলামকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
[৬] ভুক্তভোগী গৃহবধু বলেন, আমার পরিবার যৌতুক দিতে না পারায় আমাকে দিনের পর দিন আমার স্বামী রাশেদুল আমাকে প্রচন্ড মারধর করে। মারধরের ঘটনায় আমি আহত হয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছি। এবং আমার গলায় চাকু ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ডিফোর্স লেটারে সই করে নিয়ে আমাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুরী।
[৭] অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী লোক ভালো না। সে আমাকে তালাক দিয়ে স্বইচ্ছায় বাবার বাড়ি চলে গেছে। আমি মারধর করেনি।
[৮] কালকিনি উপজেলা লিগাল এইড কর্মকর্তা ঝর্না বেগম বলেন, যৌতুকের জন্য কোন নারীকে নির্যাতন করা যাবেনা। এটা করা গুরুতর অপরাধ ও ঘৃনাযোগ্য কাজ।
[৯] এব্যাপারে কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন বলেন, এ বিষয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী