বিপ্লব বিশ্বাস: [২] ৫০ কতিথ বড় ভাইয়ের মদদে চট্টগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেড় শতাধিক কিশোর গ্যাং। এদের ৫০০ সদস্য নানা অপরাধ করছে চট্টগ্রামে। এরা নিজেদের পরিচয় দেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অনুসারী হিসাবে।
[৩]পুলিশ বলছে, সদস্য ও মদদদাতাদের তালিকা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর কিশোরদের রাস্তায় পাওয়া গেলে আটক করার কথাও বলছে পুলিশ।
[৪]নগরীর বাকলিয়ায় স্থানীয় দুই কিশোর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কারণ কথিত বড় ভাইয়ের সামনে সিগারেট জ্বালানো। আর, এম-ই-এস কলেজের সামনে স্কুলছাত্র সানি হত্যায় জড়িতদের সবাই ছিলো সদ্য স্কুলের গন্ডি পেরুনো কিশোর। স্থানীয়রা বলছেন, সংঘর্ষের কারণ ছিলো ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের বিরোধ।
[৫]এছাড়া জামালখান এলাকায় কলেজিয়ট স্কুলের শিক্ষার্থী আদনান হত্যাসহ সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ঘটনায় আটকদের বেশিরভাগই কিশোর।
[৬] স্থানীয়রা বলছেন, নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাদের নানা তৎপরতা চোখে পড়ে কথিত এসব কিশোর গ্যাং সদস্যদের। যার পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করে কথিত বড় ভাইরা।
[৭] চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, 'রাজনৈতিক পরিচয়টাকে সামনে এনে অপরাধীদের একটা সুযোগ করে দেয়া হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত, যে অপরাধী তাকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
[৭]অপরাধে জড়িয়ে পড়া কিশোরের মধ্যে দরিদ্র থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও আছে। নগরীর ১৬ থানার ১৪৫ বিট কর্মকর্তাদের কিশোর গ্যাং ও তাদের মদদদাতাদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
[৮]চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, 'তাদেরকে যারা ভুল পতে পরিচালিত করছে আমরা এ বিষয়ে এরইমধ্যে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবো। পাশাপাশ আমরা সামাজিক সচেতনতা গ্রো করবো যাতে অভিভাবক-শিক্ষকরা এ বিষয়ে এগিয়ে আসে।' অভিযোগ আছে কিছুদিন পুলিশ তৎপর থাকলেও পরে আবারো তা স্থিমিত হয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :