বাশার নূরু : [২] ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই সব অপরাধীদের ছোট খাটো লঘু দণ্ড দিয়ে লাভ নেই, সর্বোচ্চ শাস্তির যে দাবি উঠেছে এটা অযৈাক্তিক নয় বলেও তিনি জানান ।
[৩] বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় সড়ক ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা জানান।
[৪] তিনি বলেন, ধর্ষণকারীরা যেন কোন রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঠিকানা না হয় সে অনুরোধ করবো। ধর্ষকদের বিচার সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে আমিও। যে সব অপরাধি বা ধর্ষক এ সব ঘৃন্ন কাজ করছে, তাদের জন্য শাস্তি শেষ কথা নয়, তারা কোন রাজনৈতিক দলের ছায়া থাকলে তাদের চিরতরে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ধর্ষণকারী যেন কোন রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঠিকানা না হয় এবং ধর্ষকদের যেন কোন রাজনৈতিক দল প্রশ্রয় না দেয়।
[৫] ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়নের গতি ধরে রাখার পাশাপাশি সামাজিক অপরাধ, দুর্নীতি, অনিয়ম বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারে অবস্থান স্পষ্ট। দুর্নীতি-অনিয়ম করে যেমন কেউ ছাড় পায় নি, তেমনি নারীর প্রতি, শিশুদের প্রতি অন্যায়ে ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে। যেখানে যেই ঘটনাই ঘটুক কোনটাকেই সরকার ছাড় দেয় নি। অপরাধকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে।
[৬] তিনি বলেন, দুর্নীতি এবং অপকর্মের মুলুৎপাটনে শেখ হাসিনার কোন পিছু টান নেই্। নারীর প্রতি সহিংসতা, নারীর অবমাননা, মাদক, সাইরার অপরাধ, গুজব ছড়ানো এইসব অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে রুভে দাঁড়াতে হবে, গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ। এসব নষ্টরুচির অপরাধিদের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দাতাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।এসব অপরাধিদের বিরুদ্ধে সকল রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনকে আপোষহীন মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
[৭] দেশে বিচার হীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণ বাড়ছে বিএনপি মহাসচিবের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিচার, শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। এর আগে কোন অপরাধের বিচার হয় নি। তার আগে ফাহিমা, মুন্নি পূর্মিাদের কথাই ভাবুন। একটি ঘটানারও কি বিচার হয়েছে? একটি অপরাধেরও কি দণ্ড দেওয়া হয়েছে? বিএনপির দলীয় লোকদের একটিরও কি বিচার হয়েছে? তাদের মুখে এটা শোভা পায় না। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন দেশে না কি গণতন্ত্র নেই। আমরা বলতে চাই প্রতিদিন গণমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ফ্রি স্টাইলে তারা বিষোদগার করছে। গণতন্ত্র না থাকলে মির্জা ফখরুল সাহেবরা এভাবে অবিরাম মিথ্যাচার করতে কি পারতেন। গণতন্ত্র আছে বলেই, তারা সরকারের সমালোচনা করতে পারছেন। এমনকি গঠনমূলক না হয়ে বিরুপ আচরণ করছেন।