সুজন কৈরী : রাজধানীর মগবাজারের পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বারে অভিযান চালিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এ সময় সংস্থাটি বার থেকে অবৈধভাবে মদ বিক্রি ও ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে।
সোমবার সংস্থার উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল মগবাজারের ১১৪ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সড়কে অবস্থিত ওই রেস্টুরেন্ট বারে অভিযান চালায়। এ সময় রেস্টুরেন্ট বারে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মদ বিক্রি করার প্রমাণ পায়। প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর- ০০২৪৫৬৯৬৯-০২০৪।
ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসিক ভ্যাট রিটার্নে শূন্য বিক্রি দেখিয়েছে। অভিযানকালে ভ্যাট গোয়েন্দা দল পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বারের স্টকে ১ হাজার ৪১৫ লিটার দেশি ও বিদেশী মদ পান। কিন্তু মাদকের লাইসেন্স অনুযায়ী তাদের মজুদ থাকার কথা ১ হাজার ৯২৭ লিটার। প্রতিষ্ঠানটি বার থেকে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে প্রায় ৬৫০ বোতল মদ ও খাদ্যদ্রব্য অবৈধভাবে বিক্রি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা, অনুসন্ধান ও অডিট বিভাগের ডিজি ড. মইনুল খান বলেন, কোনো মদের বার ও রেস্টুরেন্টে যে কোনো পণ্য বিক্রিতে সরকারের ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট রিটার্নে শূন্য বিক্রি দেখানোর ফলে সরকার প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ বলছে, কোভিডের কারণে রেস্টুরেন্ট বারে মদ জাতীয় দ্রব্য বিক্রিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপরও পিয়াসি বারটি ভ্যাট গোয়েন্দা অফিসের প্রায় ২০০ মিটার দূর থেকে গোপনে এই ব্যবসা চালাচ্ছিল। গোপন তথ্য পেয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা এই অভিযানটি চালানো হয়।
ডিজি ড. মইনুল খান বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদিত মদের বাইরে কোনো মদজাতীয় দ্রব্য বিক্রির সাথে জড়িত কিনা কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবৈধভাবে মদ বিক্রির দায়ে ভ্যাট আইন ও অন্যান্য আইনে পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।