সিরাজুল ইসলাম: [২] দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাল আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী আকবর বেলায়েতি মঙ্গলবার এ আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির দৈনিক কেইহান-কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ইরান যেমনি ইসরাইলের দ্বারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের বিরোধী তেমনি আর্মেনিয়ার দ্বারা আজারবাইজানের ভূখন্ড দখলের বিরোধী।
[৩] তিনি বলেন, ইরান সব দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বিশ্বাস করে। এটা জাতিসংঘ সনদের নীতিমালার অংশও। জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে এ নীতি মেনে চলে তেহরান। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া উভয়ই ইরানের প্রতিবেশী। আর্মেনিয়া প্রতিবেশী আজারবাইজানের দক্ষিণের অন্তত ৭টি শহর দখল করে রেখেছে। জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত চারটি ইশতেহার রয়েছে। সব ইশতেহারেই বলা হয়েছে, আজারবাইজানের একটা অংশ দখলে রেখেছে আর্মেনিয়া। আর্মেনিয়াকে দখল ছেড়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্তে ফিরে যেতে বলা হয়েছে এ সব ইশতেহারে।
[৪] বেলায়েতি বলেন, ইরান চায় আজারবাইজানের ভূখণ্ড সেদেশকে ফিরিয়ে দেয়া হোক। এ সব অঞ্চল দখল করায় দেশটির ১০ লাখের বেশি মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন। দ্রুত এসব এলাকা ছেড়ে দিতে বলছি আমরা।
[৫] তিনি বলেন, ইরান মনে করে- এ সমস্যার সামরিক সমাধান নেই। রাজনৈতিক পথে এগোতে হবে। আলোচনায় বসতে হবে। কারণ যুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ। চলমান যুদ্ধ গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যও ক্ষতিকর।
আপনার মতামত লিখুন :