শেখ আদনান ফাহাদ: যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আকাশের মতো বিশাল, কিংবা আকাশের চেয়েও বড় কিছু। বিশে^র সেরা কর্মকর্তা দিয়েও শিক্ষা কার্যক্রম চলবে না। কর্মকর্তা অধস্তনদের আদেশ করেন, বাকিরা সবাই শোনে; আবার উচ্চ পদের কর্মকর্তার হুকুম বাস্তবায়ন করেন। একজন সচিব দিয়ে মন্ত্রণালয় চলবে, একজন মেজর জেনারেল দিয়ে প্রতিরক্ষা সম্ভব হবে, কিন্তু দিনের পর দিন স্বাধীন ছেলে-মেয়েদের ক্লাসে পড়ানো, তাদের সুখে-দুঃখের অংশ হয়ে থাকা, তাদের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা তৈরি করা, স্বপ্ন বাস্তবায়নের রাস্তা বাতলে দেওয়া, দিন রাত পরিশ্রম করে গবেষণা করার মতো কঠিন কাজ অফিসাররা পারবেন না। তাদের দক্ষতা অন্য জায়গায়। সেটি প্রশাসনিক, কাগজে-কলমে নির্ভুল থাকা।
শিক্ষক কাউকে আদেশ করেন না, শিক্ষক পথ বাতলে দেন। পথনির্দেশ করেন। আর বিশ^বিদ্যালয় তো বিশেষ শক্তি ধারণ করে এবং নতুন শক্তি সৃষ্টি করে। পুরো দেশ কিংবা বিশ^ থেকে আসা নানা মত ও বিশ^াসের পাকাপোক্ত ছেলে-মেয়েরা বিশ^বিদ্যালয়ে আসে। আবার বের হয়ে গিয়ে রাষ্ট্র এবং বিশে^র দায়িত্ব নেন। খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে অফিসারকে ভিসি হিসেবে দিয়ে দিলে হবে না। অফিসারের সত্তা এবং শিক্ষক, গবেষকের সত্তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর এ ধরনের নিয়োগ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনার পরিপন্থী। বলা যায়, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া। আমার ধারণা এখানে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়নি সংশ্লিষ্ট দফতর। এটাও বিশ^াস করি, বড় ধরনের কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ভুল করে ভুল হয়ে গেছে এখানে। অবিলম্বে এই নিয়োগ আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুরোধ রইলো। ফেসবুক থেকে