ইসমাঈল ইমু : [২] নরসিংদীর ইউপি সদস্য রিনা বেগমের ছেলেকে হত্যার পর গা-ঢাকা দিয়েছিলেন কবির মিয়া। নিজের নাম বদলে রাখেন শ্যামল। তবে তিন বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। শেষমেশ সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেন তিনি। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা বহেরার চালা এলাকা থেকে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
[৩] শনিবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর ডিআইজি মো. মাঈনুল হাসান জানান, কবির নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার খামারেরচর গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে। একই উপজেলার নারায়ণপুরের (৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য রিনা বেগমের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তার ছেলে ফরিদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কবির। বিষয়টি বুঝতে পেরে রিনা বেগম তার ছেলে ফরিদকে কক্সবাজার পাঠিয়ে দেন।
[৪] পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর রাত ২টার দিকে কবির ও শিপন রিনা বেগমের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। এরপর বাচ্চু মিয়া রিনার আরেক ছেলে সোহরাবকে নিয়ে ঘর থেকে বের হন। এ সময় শিপন ও কবির সোহরাবকে জাপটে ধরে মুখে গামছা বেঁধে পাশের কুকুর মারা স্কুলের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেন শফিক ও মিলন নামে আরও দুজন। তারা সোহরাবকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।