সালেহ্ বিপ্লব, মঈন উদ্দীন : [২] মুন্ডুমালা সাধু মেরি গীর্জার ইনচার্জ ফাদার প্রদীপ গেগরী বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণির পড়ুয়া আদিবাসি ছাত্রীকে তিন দিন ধরে গীর্জা আটক রেখে ধর্ষণের অভিযোগ। তিনদিন পর মঙ্গলবার সন্ধায় গীর্জা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের মামলা দায়েরের পর পুলিশ ফাদারকে গ্রেপ্তার করে।
[৩] এ ঘটনায় ফাদার প্রদিপ গে গরীকে মুন্ডুমালা গীর্জা হতে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানান গীর্জার সহকারী ইনচার্জ ফাদার প্যাটিজ গমেজ।
[৪] ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার দুপুরে গীর্জা একটি সালিসি বৈঠক বসানো হয়। সালিসি বৈঠক ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পরিবারকে ধর্মের ভয় দেখিয়ে আপস করা হয়। তার লেখাপড়া ও ভরণ পোষণসহ বিয়ের আগ পর্যন্ত সকল খরচ বহন করা হবে বলে গীর্জার পক্ষে থেকে বলা হয়।
[৪] সালিসি বৈঠকে রাজশাহী জেলা ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি ও স্থানীয় দুইজন গ্রাম্য প্রধান এবং আদিবাসি তানোর উপজেলার পারগানা পরিষদের সভাপতি ও মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডি উপস্থিত ছিলেন।
[৫] মেয়েটির ভাই বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে তার বোন আর বাড়ি ফিরে আসেনি। সারাদিন তাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর তানোর থানায় একটি জিডি করা হয়। জিডি করার একদিন পর ২৮ সেপ্টেম্বর গীর্জার ফাদারে ভবনের ছাদে তার বোনকে দেখতে পান স্থানীয়রা।
[৬] পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করতে গেলে ফাদার বাধা দেন। এমস সময় স্থানীয়রা রাজশাহীর জেলা ধর্ম প্রদেশের ইনচার্জকে বিষয়টি মোবাইলে অবহিত করেন। তার নির্দেশে সোমবারে দুপুরে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি ফাদার আসেন। তারা স্থানীয় গ্রাম্য প্রধান মাইকেল হেমরণ ও মহেষ মুরমু ও আদিবাসি নেতা কামেল মার্ডীকে নিয়ে সালিসি বৈঠক বসান। সালিসি বৈঠকে ফাদারের পক্ষে রায় দেন সবাই।