সিরাজুল ইসলাম: [২] দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইনের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি ক্ষমা চান। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের কাছে ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ এবং ‘অত্যন্ত হতাশ’ হয়েছেন বলে চিঠিতে বলা হয়। তবে চিঠিটি কবে পাঠানো হয়েছে, তা বলা হয়নি। বিবিসি
[৩] দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, নিহত ৪৭ বছরের ওই ব্যক্তি সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। সম্ভবত পালিয়ে উত্তর কোরিয়া চলে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উত্তর কোরিয়ার সেনারা নিজেদের জলসীমায় তাকে ভাসতে দেখে গুলি করে এবং মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেয়।
[৪] দুই কোরিয়ার সীমান্তে এমনিতে কঠোর পাহারা থাকে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে কড়াকড়ি আরও বাড়ানো হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাস প্রবেশ ঠেকাতে উত্তর কোরিয়া খুব সম্ভবত সীমান্তে ‘গুলি করে হত্যার’ নীতি গ্রহণ করেছে।
[৫] প্রেসিডেন্ট মুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনও পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এতে বলা হয়, ওই ব্যক্তিকে ১০টির বেশি গুলি করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি উত্তর কোরিয়ার জলসীমায় প্রবেশের পর নিজের পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
[৬] দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক সুহ হুন বলেন, উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে- তারা ওই ব্যক্তির মৃতদেহ জ্বালিয়ে দিতে চায়নি। কিন্তু ভাসমান বস্তু থেকে তার মৃতদেহ সেনারা আলাদা করতে পারেনি।
আপনার মতামত লিখুন :