ইউসুফ মিয়া: [২] রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের হড়াই নদী ও কানা বিলের উপর অবৈধ বাঁধ বৃহস্প্রতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বৃহসপতিবার দুপুরে অপসারণ করেছে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন।
[৩] জানাগেছে, হড়াই নদী ও কানা বিলের ওপর অবৈধ বাঁধ নির্মান করে মাছের খামারে পরিনত কারণে এলাকার আশেপাশের কৃষকের আবাদী জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় জনগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এলাকার কৃষকরা সবাই মিলে অভিযোগ করেন। অভিযোগের পেক্ষিতে বিভিন্ন পএিকায় ও বিভিন্ন অনলাইন পোটালে নিউজ হয় তার পর পরই অভিযোগটির তদন্তের জন্য উপজেলা মৎস্য অফিসারকে প্রদান করলে তিনি সত্যতা আছে এবং নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দাখিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করে।
[৪] উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ. কে. এম. হেদায়েতুল ইসলাম এর নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস,এম আবু দারদা উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ডহর পাচুরিয়া গ্রামে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হড়াই নদী ও কানা বিলে বাঁশ দিয়ে নির্মিত দুইটি অবৈধ বাঁধ ও আশেপাশের জমিতে জলাবদ্ধতার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আবু দারদা এর নেতৃত্বে অবৈধ বাঁধ স্থাপনা অপসারনের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়।
[৫] অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ শাহাদত ইসলাম, স্থানীয় ইউপি মেম্বার জিয়াউর রহমান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সহযোগিতা করেন বালিয়াকান্দি থানা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
[৬] অভিযানে শান্তিপূর্ণভাবে দুইটি বাঁধ সম্পূর্ণরূপে অপসারন করা হয় এবং বাঁধ নির্মানকারীদের নিকট থেকে মুচলেকা নেয়া হয় যেন ভবিষ্যতে এধরণের কোন স্থাপনা পুনরায় নির্মাণ করা না হয়।
অভিযানের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস,এম আবু দারদা।
[৭] উল্লেখ্য, মোকছেদ শেখ, মোয়াজ্জেম দেওয়ান, আব্দুর রউফ মিয়া ও আকবর শেখ বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বংকুর গ্রামের মজিবর রহমান ওরফে মজিবর চৌকিদার, লোকমান মন্ডল ও আটদাপুনিয়া গ্রামের বজলু মন্ডল ও কাশেম মন্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। সম্পাদনা: হ্যাপি