মোহাম্মাদ এ আরাফাত: গণমাধ্যমে দুর্নীতির যে সংবাদ প্রচারিত হয়, তার সবগুলোই কী সত্য? প্রথম আলো, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে একটি বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করলো। শুধু তাই নয়, সেই সংবাদের ওপর ভিত্তি করে সম্পাদকীয় পর্যন্ত লিখে ফেলা হলো। এমনকি সম্পাদকীয়তে দাবি করা হলো, বাংলাদেশে নাকি এযাবৎকালের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। বিভিন্ন টকশোতে সেই সংবাদ এবং সম্পাদকীয়র ওপর ভিত্তি করে কঠিন কঠিন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হলো। পরবর্তী সময়ে দেখা গেলো, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে প্রকাশিত সংবাদটি ছিলো বানোয়াট। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট জবাব দিলেন সংসদে। এ ধরনের সংবাদ যারা প্রচার করে তারা কি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে? এ ধরনের সংবাদের উদ্বৃতি দিয়ে যারা কথা বলে তারা কী সমালোচক না নিন্দুক।
এদেশে দুর্নীতি আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সকল সত্য সংবাদকে আমি মন থেকে স্বাগত জানাই। কিন্তু সকল দুর্নীতির সংবাদই সঠিক নয়। মনে আছে,
কিছুদিন আগেই ডাক্তারদের ২০ কোটি টাকা খাবারের বিল নিয়ে দুর্নীতির একটা মিথ্যা সংবাদ হয়েছিলো? মনে আছে, পদ্মা সেতু ভিত্তিক মিথ্যা দুর্নীতির সংবাদে গণমাধ্যম সয়লাব হয়ে গিয়েছিলো। বাংলাদেশ কিন্তু গত ১২ বছরে দুর্নীতির প্রতিযোগিতায় একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি, হ্যাটট্রিক করা তো দূরের কথা। তারপরও জামায়াত-বিএনপির লোকেরা বলতে চায়, এ যাবৎ কালের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি নাকি এখন হচ্ছে। ফেসবুক থেকে