হাসনাত কাইয়ূম: মানুষ যখন ফ্লুতে আক্রান্ত হয় তখন জ্বর হয়, শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে, মাথাব্যাথা, সর্দি-কাশি-গলাব্যাথ্যা হয়, হাত-পা কামড়ায়, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে, খাবারে রুচি কমে যায়, ইত্যকার অনেক কিছু হয়, হতে পারে। এসব উপসর্গ টের পাওয়া যায়, অনুভব করা যায়, কোনোটা কোনোটা দৃশ্যমানও হয় কিন্তু আসল যে রোগজীবাণু, তাকে খালি চোখে দেখা যায় না। অনেক মানুষ এইসব উপসর্গকেই রোগ মনে করে।
রাষ্ট্র এবং সমাজ অনেকটা মানব শরীরের মতোই। এতে যখন রোগজীবাণু প্রবেশ করে তখন নানা রকম অস্থিরতা তৈরি হয়, মানুষের শত্রু-মিত্র বোধ কমে যায়, আত্মীয়-বন্ধু-স্বজনকে পর মনে হয়, তাদের সাথে হিংস্র আচরণ করে, প্রকৃত চোর-বদমাশদের পুজো করে, লুটপাট-পাঁচারকারীদের নেতা মনে করে, মিত্র এবং বন্ধু শক্তিকেই সকল সমস্যার কারণ মনে করে ইত্যাদি ইত্যাদি। এ রকম পরিস্থিতিতে তারা যে ব্যবস্থার কারণে পতিত হয়েছে, যে ব্যবস্থার তারা শিকার, শেষ পর্যন্ত সে ব্যবস্থাকেই আরও শক্তিশালী করে। কারণ ব্যবস্থার ভেতরে যে অসুখটা থাকে, খালি চোখে সে অসুখটাকে, অসুখের বীজটাকে, রোগ জীবাণুটাকে সাধারণত দেখা যায় না বরং সর্দি-কাশির মতো পাশের মানুষগুলোকে বিরক্তিকর এবং শত্রু- শতরু মনে হয় । ফেসবুক থেকে