স্বকৃত নোমান: বাঙালি সমাজে অতি ব্যবহারে জীর্ণ দুটি কথা খুব প্রচলিত। একটি হচ্ছে, দান করতে হবে অত্যন্ত গোপনে। অপরটি হচ্ছে, মৃত ব্যক্তির সমালোচনা করা যাবে না। কথা দুটি রীতিমতো প্রবাদ। কী কারণে দান গোপনে করতে হবে? সমাজে ধনী-গরিবের ব্যবধান ছিল, আছে, হয়তো ভবিষ্যতেও থাকবে। গরিবের সংকটে ধনীরা এগিয়ে আসবে―এটাই সভ্যতা, এটাই মানবতা। এটা ভালো কাজ। এই ভালো কাজটি গোপনে নয়, করতে হবে প্রকাশ্যে, যাতে অন্যরা এই কাজে উৎসাহিত হয়। হ্যাঁ, গোপন করতে হবে দানগ্রহীতার নাম, যাতে সমাজে সে খাটো না হয়, অসম্মানিত না হয়।
আর মৃত ব্যক্তিটি যদি জীবৎকালে সিরিয়াল কিলার হয়, প্রাণবতার শত্রু হয়, হিংস্র দানবের চেয়েও নিকৃষ্ট হয়, প্রকাশ্যে মানুষ হত্যার উস্কানিদাতা হয়―তার সমালোচনা কেন করা যাবে না? অবশ্যই তার সমালোচনা করা যাবে। করতে হবে মানবতার স্বার্থে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে। প্রজন্মের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে যে, এই যে অমানুষটি মারা গেলো, সে ছিলো অসুরের বংশধর, মানবতার শত্রু। সাবধান, তোমরা তার মতো হয়ো না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :