রাঙামাটি প্রতিনিধি:[২] সম্প্রতি কাপ্তাই হ্রদে দখলের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা নদী রক্ষা ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এবং রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম, জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট শিল্পী রানী রায়সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
[৩] দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা ফেরানো, হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ উঠেছে জেলা নদী রক্ষা ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা নদী রক্ষা ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় সুপারিশ করা হয়।
[৪] এ বছর হ্রদের পানি কম হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে নৌ-যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ হ্রদের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করা এবং একইসঙ্গে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন চলমান রাখার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়।
[৫] বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙামাটি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে জেলায় ছয়টি খাল খননের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় কাজ আপতত বন্ধ রাখা রয়েছে। হ্রদের পানি কমলে আবারও কাজ শুরু হবে। নতুন আরও ২৫টি খাল খনন করতে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সেইসব খাল খননের কাজ শুরু হবে।
[৬] জেলা নদী রক্ষা ও কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, কাপ্তাই হ্রদে নাব্যতা ফেরাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে দ্রুত কাজ শুরুর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হবে। হ্রদের দখল বন্ধে সকলের সহযোগিতা কামনা এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউএনও’দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :