মুসফিরাহ হাবীব: [২] ভারতের মুম্বাইকে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করার জেরে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিস ভেঙে দিয়েছে বৃহন্মুম্বাই পৌরসংস্থা (বিএমসি)। মুম্বাইয়ের পালি হিলসে নার্গিস দত্ত রোডে কঙ্গনার এই অফিসের মূল্য ৪৮ কোটি রূপি। অফিস বললে কম বলা হয়, কোনও রাজপ্রাসাদের থেকে এটি কম নয়। তাই একে বাংলো বা রাজপ্রাসাদই বলা চলে।
[৩] মুম্বাইয়ের অভিজাত পল্লিতে এই অফিস ‘মণিকর্ণিকা’র সাফল্যের পর বানিয়েছিলেন কঙ্গনা । ফলে অফিসের অনেক ইন্টেরিয়রই ‘মণিকর্ণিকা’র থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে করা। গোটা অফিসের কোথাও এক টুকরো প্লাস্টিক নেই । পুরোটাই ইকো-ফ্লেন্ডলি সামগ্রী আর অর্গ্যানিক ফেব্রিক দিয়ে তৈরি । এই অফিসের মধ্যেই রয়েছে কঙ্গনার নিজস্ব স্টুডিও, ওয়ার্কপ্লেস । বেশিরভাগটাই খোলা আকাশের নীচে। অফিসটি তিন তলা।
[৪] গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে একটি ওপেন স্কাই ক্যাফেটেরিয়া, সেখানে বাইরের যে কেউ এসে বসতে পারেন । কফি খেতে খেতে আড্ডা দিতে পারেন । পাশেই রয়েছে ছোট একটা মন্দির । হনুমানের মূর্তি রয়েছে সেখানে । দ্বিতীয় তলায় রয়েছে কঙ্গনার নিজস্ব ওয়ার্ক স্টেশন । সেখানে বড় একটি ব্যানারে লেখা ‘প্লে দ্য ওয়াইল্ড কার্ড’ । কিছু প্রাইভেট মিটিং রুমও রয়েছে এখানে ।
[৫] তিন তলায় রয়েছে একটি খোলামেলা বিশাল মিটিং রুম বা লাউঞ্জ । তথাকথিত মিটিং রুমের মতো নয় এটি । কোনও টেবিল-চেয়ার বসানো কর্পোরেট কলফারেন্স রুম নয় এটি । সোফা, খোলা বারান্দা... দারুণ ডেকরেশন রয়েছে এই লাউঞ্জের। অফিসে কঙ্গনার নিজের জন্য রয়েছে একটি ভ্যানিটি রুমও ।
[৬] রয়েছে নিজের ওয়ার্ডরোব । যাতে কখনও প্রয়োজন পড়লে অফিস থেকেও প্রস্তুত হয়ে যেতে পারেন তিনি । চার বছর ধরে নিজের এই প্রোডাকশন হাউজটি তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন কঙ্গনা। কিন্তু মাঝে তার কিছু ছবি তেমন ব্যবসা করতে না পারায় সেটা বাস্তব রূপ নিতে একটু বেশি সময় লেগেছে তার ।
আপনার মতামত লিখুন :