সুজন কৈরী, মুস্তাফিজুর রহমান: [৩] নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
[৪] নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাজমুল হোসেন জানান, যেসব রোগী এসেছেন, তাদের ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্তত ১০ জনের ৯৯ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
[৫] স্থানীয়রা জানান, দেড় থেকে দুইশ’ মুসল্লি এশার নামাজে অংশ নেন। জামাত শেষে মুসল্লিরা যখন সুন্নত নামাজ আদায় করছিলেন তখন বিকট শব্দের সঙ্গে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নামাজে প্রায় ৮০ জনের মতো মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন। দগ্ধদের উদ্ধার করে জরুরি ভিত্তিতে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ও ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
[৬] ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, ৩৭ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে মো. ফরিদ, শেখ ফরিদ, মনির, মোস্তফা কামাল, রিফাত মাইনুউদ্দিন, মো. রাসেল রাশেদ, নয়ন, বাসার মোল্লা, বাহাউদ্দিন, শামীম হাসান, জোবায়ের, জয়নাল, মোহাম্মদ আলী সাব্বির, মোহাম্মদ আলী, মামুন, কুদ্দুস বেপারী, মোহাম্মদ নজরুল, সিফাত, আব্দুল আজিজ, নিজাম, মো. পেনান, নাদিম হুমায়ুন, ফাহিম, জুলহাস, ইমরান হোসেন, আব্দুস সাত্তার, আমজাদ, মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক এবং মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনের নাম পাওয়া গেছে।
[৭] শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দগ্ধদের মধ্যে বেশির ভাগেরই মেজর বার্ন। এক কথায় বলতে গেলে, বেশিরভাগেরই পুড়ে যাওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি।
[৮] নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, মসজিদের নিচ দিয়ে যাওয়া গ্যাসল্ইানে লিকেজ হয়। বদ্ধরুমে জমে যাওয়ার কারণে সেই গ্যাসে বিস্ফোরণ ঘটে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :