দেবদুলাল মুন্না: [২] শাহরিয়ার কবির বললেন,তিনি দেশে মরতে চেয়েছিলেন,পারেননি বলে তার সমাধি পেয়েছি।
[৩] বীরউত্তম ও মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি আর দত্ত) শেষকৃত্য আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুইটায় সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর রাজারবাগ কালীমন্দির শ্মশানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় জাতির এই কৃতী সন্তানের। এর আগে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে তার মরদেহের প্রতি ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এই বীর উত্তমকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় পুলিশের একটি চৌকস দল।
[৪] এসময় শাহরিয়ার কবির আরও বলেন, সি আর দত্ত সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ছিলেন। সেজন্য আমেরিকায় মারা গেলেও চেয়েছিলেন তার মৃত্যুর স্মারক যেন থাকে নিজ দেশে।
[৫] আজ সকালে সি আর দত্তের মরদেহ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এখানেই শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয় মুক্তিযুদ্ধের এই সেক্টর কমান্ডারের মরদেহ। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন তার তিন মেয়ে, ছেলে, জামাতা ও নাতি-নাতনিরা। এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘর থেকে তার মরদেহ বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় নেওয়া হয়।
[৫] এর আগে সোমবার সকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় তার মরদেহ।
[৭] তার জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের মিরাশি গ্রামে। তিনি বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :