হারুন-অর-রশীদ : [২] ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ভাই ইসতিয়াক হাসান ওরফে জুয়েল মণ্ডল (৪১) চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক ‘অফিস আদেশ’ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
[৩] আদেশে অধিদপ্তরের ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রিফাতুল হোসাইনের সই রয়েছে। আদেশের কপি বুধবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফরিদপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের হাতে পৌঁছায়। জুয়েল মণ্ডল এই ইনস্টিটিউটের উপ-সহকারী প্রশিক্ষক।
[৪] ওই আদেশে বলা হয়েছে, জুয়েল মণ্ডলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় গত ১৮ মে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা (নম্বর ৩১) হয়েছে। এই মামলায় পরোয়ানা জারির পর ১৮ আগস্ট তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ অবস্থায় বিধি অনুযায়ী তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের তারিখ থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। বিধি মোতাবেক তিনি খোরপোষ পাবেন। জুয়েল মন্ডল ফরিদপুর শহরের বদরপুর এলাকার মৃত সালাম মন্ডলের ছেলে। ১৮ আগস্ট বিকেলে পুলিশের একটি দল ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।জুয়েল মন্ডলের ভাই বরকত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক। অপর ভাই রুবেল ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি। বরকত ও রুবেলকে গত ৭ জুন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামী হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই মামলায় আসামী হিসেবে গ্রেফতার করা হয় জুয়েল মন্ডলকে।
[৫] ফরিদপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ বলেন, জুয়েল মণ্ডলের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এ প্রেক্ষাপটে তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :