আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর প্রতিনিধি : [২] বগুড়ার শাজাহানপুরে সড়কগুলো দখল করে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছে টাউট বাটপাররা। ফলে উপজেলার বেশীরভাগ সড়ক এখন সংবীর্ণ হয়ে পড়েছে। আর এসব কারনে দৈনন্দিন যাতায়াতে জনগনের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি সীমাহীন হলেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
[৩] উপজেলার মাঝিড়া-দুবলাগাড়ি সড়ক, টেংগামাগুর- খরণা, বীরগ্রাম-মাঝিড়া সড়ক, নয়মাইল-আমরুল ইউপি সড়ক, নয়মাইল- দাড়িগাছা সড়ক, জালশুকা-বাগবাড়ি সড়ক এবং কাটাবাড়িয়া ও মাদলা ষ্ট্যান্ড এলাকার সড়ক সমুহ দখলদারদের কবজায় পড়ে এভাবে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। দুটি পরিবহন দুদিক থেকে একসাথে চলাচল করতে পারছে না। এতে করে শুধু জনসাধারনের শুধু ভোগন্তিই হচ্ছেনা, জরুরী প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবায় এ্যম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, প্রশাসনের গাড়ি ও থানা পুলিশের গাড়ি যাতায়াতে বিলম্ব ও হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর দিনের পর দিন সড়কগুলোতে এভাবে দখল চলমান থাকলেও কর্তাদের ঘুম ভাঙ্গছে না কিছুতেই।
[৪] এসব স্থানে রয়েছে একাধিক সড়কের সংযোগস্থল ও বাজার। নিত্য প্রয়োজনে জনসাধারনের চলাচল এসব স্থানে সব সময়। জনসমাগম লেগেই থাকে। শুধু তাই নয়, শাজাহানপুর উপজেলাটি বগুড়া শহর সংলগ্ন হওয়ায় এখানকার মানুষের জীবন এবং জীবিকা শহর কেন্দ্রিক। সংগত কারনে এসব পথে মানুষের ও পরিবহন চলাচল উল্লেখযোগ্য হারে বেশী। অথচ এসব রাস্তা দখল করে একেরপর এক অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে শতশত দোকান। আর দিনে দুপুরে এভাবে দোকান গড়ে উঠলেও দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ নেই কারও।
[৫] জানাগেছে, মাঝিড়া থেকে দুবলাগাড়ী সড়কটি প্রস্থে প্রায় ২৬ ফুট, কোথাও আরও বেশী। কিন্তু সরেজমিনে ১৫ ফুটও নেই। কাটাবাড়িয়া মোড়ে ৩০ ফুট প্রস্থের সড়কটি এখন ১৮ ফুট হয়ে পড়েছে। নয়মাইল ষ্ট্যান্ডের দাড়িগাছা সড়কটি প্রস্থে ৩৬ ফুট হলেও এখন ২০ ফুটও নেই। একই অবস্থা অন্যন্য সড়কগুলোরও।
[৬] স্থানীয়রা বলছেন, চোখের সামনে সড়ক দখল চললেও কর্তাদের নীরবতায় এভাবে দখলের আগ্রাসনে সংকীর্ণ হচ্ছে সড়ক। জনসাধারনও র্দুবৃত্তদের ভয়ে মুখ খোলেনা। দেখেও না দেখার ভান করছেন। ফলে অবৈধ দখলকারীদের সাহস দিন দিন বেড়েই চলছে।
[৭] ভোক্তভোগীরা বললেন, প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সড়ক দখল চলছে মহা উৎসব কিন্তু এসব দেখার দায়িত্বে যারা আছেন, তারা না ধরলে আমরা ধরবো কি করবো। তারা অভিযোগ করে বলেন, স্থানগুলো ব্যাস্ততম ও গুরুত্বপুর্ন বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানালেও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয় না।
[৮] শাজাহানপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশিক খান বলেন, উচ্ছেদ অভিযান একটা জটিল বিষয়। স্থানগুলো দেখে প্রতিবেদন দেওয়ার পর তা মন্জুর হলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[৯] আর নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন বলেন, অবৈধ দখলের বিষয়টি জানা নেই। কেউ অভিযোগও দেইনি। তবে সরেজমিনে তদন্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। সম্পাদনা : হ্যাপি