ইমরুল শাহেদ : [২] পাকিস্তান বৃহস্পতিবার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, দেশটি ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো কিছুই ভাবছে না। আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের চুক্তি পাকিস্তানের ইসরায়েল নীতির ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
[৩] পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন নিয়োগ পাওয়া মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই বলেন, ‘ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তান একেবারেই কিছু ভাবছে না।’
[৪] প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইতোমধ্যেই বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের আত্ম-অধিকার ও স্বাধীনতা না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবা হবে না।
[৫] এরমধ্যেই একটা ধারণা বেশ জোরালো হয়ে উঠছিল যে, আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর পাকিস্তান হয়তো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে তাদের দীর্ঘদিনের পুরনো পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে।
[৬] আরব আমিরাত এবং ইসরায়েলের চুক্তির ব্যাপারে পাকিস্তান অত্যন্ত সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। দেশটি এই চুক্তির সমালোচনা বা নিন্দা কোনোটাই করেনি। এ কারণেও উল্লিখিত ধারণার সৃষ্টি হয়।
[৭] মুখপাত্র বলেছেন, পাকিস্তান জাতিসংঘ ও ওআইসির দ্বি-রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত প্রস্তাব এবং এই ব্যাপারে যে আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে, তার সমর্থক। পাকিস্তানও আল-কুদস আল-শরীফকেই ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে চায়।
[৮] তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থান আগে থেকেই এক বিবৃতির মাধ্যমে স্পষ্ট জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :