এএইচ রাফি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : [২] সম্পত্তির লোভে নিজ কন্যাকে গুম করে বড় ভাইকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন ছোট তিন ভাই। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল গ্রামে। বুধবার কসবা থানা পুলিশ নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শিশু খাদিজাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে শিশু খাদিজার বাবা মঈনুল ও চাচা টেনুকে। গ্রেফতারকৃত মঈনুল ও টেনু শিমরাইল গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে। তাদেরকে বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
[৩] জানা যায়, উপজেলার শিমরাইল গ্রামে মৃত আবদুল মালেকের ৪ পুত্রের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। মঈনুলের বড় ভাই আবুল খায়ের গেদুর সন্তানাদি না থাকায় তার অর্থ সম্পদ গ্রাস করার জন্য অপর ৩ ভাই মঈনুল, টেনু ও টুকন মিলে মঈনুলের শিশু কন্যা খাদিজাকে দিয়ে গুমের নাটক সাজায়। তারা খাদিজাকে গত ১৫ আগস্ট নেত্রকোনা শ্যামগঞ্জে মঈনুলের ভায়েরা ভাই কামালের বাসায় পাঠিয়ে দেয়। পরে খাদিজা হারিয়ে গেছে এমন মাইকিং করে গ্রামে। খাদিজা হারানোর বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে ওই তিন ভাই। পরে কসবা থানায় বড় ভাই আবুল খায়ের গেদু এবং তার স্ত্রীকে আসামী করে গুমের মামলা রুজু করে মঈনুল। পরে তদন্ত শেষে বুধবার ভোরে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শিশু খাদিজাকে উদ্ধার করে পুলিশ। খাদিজাকে উদ্ধারের পর রহস্য উন্মোচন হয়ে যায়। গেদুর কোনো সন্তানাদি নেই বিধায় সম্পত্তির লোভে তিন ভাই একযোগ হয়ে তার অর্থসম্পদ আত্মসাত করতে এই গুম নাটক সাজানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
[৪] কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বড় ভাই ও ভাবিকে ফাঁসাতে গুম নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করার দায়ে খাদিজার বাবা মঈনুল ও মঈনুলের আরেক ভাই টেনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বড় ভাই আবুল খায়ের গেদু বাদী হয়ে ছোট তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে।