শিরোনাম
◈ উপদেষ্টা পদে থেকে নির্বাচন করা যাবে কি না, স্পষ্ট করলেন ইসি আনোয়ারুল ◈ দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার রেকর্ড বিএনপির আছে—তারেক রহমান ◈ মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যা: পরিচয় মেলেনি গৃহকর্মী আয়েশা’র ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ ◈ তফসিলের পর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা মোতায়েন, বেআইনি সমাবেশে কঠোর ব্যবস্থা: অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি  ◈ ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বুনন শিল্প’ ◈ হাইকোর্টের আশপাশের এলাকায় মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ : ডিএম‌পি ◈ ১৩ ব্যাংক থেকে কেনা হলো ২০ কোটি ২০ লাখ ডলার ◈ ১৮টি কেন্দ্র–৪৯টি ভেন্যুতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার: কড়া নিষেধাজ্ঞা ও নতুন নির্দেশনা ◈ রাজনীতিবিদরা ঠিক থাকলে সমাজে পচন ধরবে না’—অর্থ উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ০২:১৭ রাত
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ০২:১৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কুলাউড়ায় নিখোঁজের তিন বছর পর প্রবাসী উদ্ধার : ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ

স্বপন দেব: [২] আটককারী চক্র হঠাৎ তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে জানায় তার স্বামী জীবিত আছেন এবং তাকে মুক্ত করতে চাইলে ১০ লাক্ষ টাকা দিতে হবে।

[৩] কুলাউড়া থানায় নিখোঁজ ইয়াকুব আলীর স্ত্রী একটি মামলা দায়ের করেন। পরে কুলাউড়া থানার পুলিশ কথিত অপহরণকারী আফসার হোসেন সাদ্দাম (৩০) এবং মো. তারেক মিয়া (২৪) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

[৪] জানা যায়, ২০১৭ সালে তাদের এত আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় নিখোঁজ হন সৌদি আরব প্রবাসী ইয়াকুব আলী (৫৫)। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও এর বালিসিন্দ্রী গ্রামের মৃত আনিছ মোহাম্মদের ছেলে। অনেক খোঁজাখুজি করে তার ব্যক্তির সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।

[৫] এজাহার থেকে জানা যায়, ইয়াকুব আলী নিখোঁজ হন ২০১৭ সালের ৮ জুলাই। পুলিশের প্রাথমিকভাবে ধারণা ইয়াকুব আলীকে অপহরণের সাথে গ্রেফতারকৃতরা জড়িত আছে। ইয়াকুব আলীর স্ত্রী, ৪ ছেলে ও দুই মেয়ে। গত ৫ আগস্ট রাত ৯ টা ২০ মিনিটের দিকে একটি ফোন আসে ইয়াকুব আলীর স্ত্রীর মোবাইলে। ইয়াকুব আলীর স্ত্রী কমলা বেগম বলেন, ফোনে এক ব্যক্তি জানায় যে, ইয়াকুব আলী তাদের হেফাজেতে আছে। তাকে মুক্ত করতে হলে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। পরে ফোন কলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

[৬] সময়ক্ষেপণ না করে কমলা বেগম তার সন্তান ও স্বজনদের নিয়ে কুলাউড়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পুলিশ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে মোবাইল থেকে কল আসে, তাকে গ্রেফতার করে। ওই ব্যক্তির তথ্যানুসারে দ্বিতীয় আরেকজনকে গ্রেফতার করে।

[৭] মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রহিম বলেন, ফোনে মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তিদের তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

[৮] কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়