সিরাজুল ইসলাম: [২] মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বন্যা প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। সেই সাথে দৃশ্যমান হচ্ছে বন্যায় কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। পানিতে নিমজ্জিত সবজি মাচাসহ জেগে উঠতে শুরু করেছে সকল প্রকার নষ্ট হওয়া ফসলি জমি । তার পরেও পূনরায় বন্যা আতংক কাজ করছে তাদের মধ্যে । ফলে বাড়ছে হতাশা।
[৩] এদিকে , নতুন করে সবজি এবং অন্যান্য ফসলের বীজ সংগ্রহ, বীজতলা তৈরি, জমি চাষ, সার ও কীটনাশক ক্রয়ে তাদের যে মোটা অংকের অর্থ প্রয়োজন তা নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬৯ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও স্থানীয় কৃষকদের ধারণা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি ।
[৪] একদিকে চলমান মহামারি করোনা অন্যদিকে, আকস্মিক বন্যার কবলে ফসল হারিয়ে প্রায় ২০ হাজার কৃষক এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এলাকার কৃষক পরিবারের দুর্ভোগ এখন চরমে। কৃষকরা এখন পর্যন্ত কোন প্রকার সরকারি-বেসরকারিভাবে আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা পাননি। তাদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন সরকারের সু-দৃষ্টি ।
[৫] উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এ উপজেলাটিতে ১ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে মাচা আকারে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১ হাজার ৬শ হেক্টরই পানিতে তলিয়ে গেছে। ৩শ ৫০ হেক্টর জমির পেঁপে ক্ষেত প্রায় পুরোটাই বন্যা কবলিত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোনা আমন ধান ও ২ হাজার ৭শ হেক্টর রোপা আমনের মধ্যে ২ হজার ৫শ হেক্টর পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়া ৮শ হেক্টর পাটের মধ্যে সাড়ে ৩শ হেক্টর জমির পাট চাষিরা কাটতে পেরেছেন। আউশ ধানসহ বিভিন্ন সবজি এবং ফলজ বাগান নষ্ট হয়েছে। অন্যান্য সেক্টরের চেয়ে কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
[৬] এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ টিপু সুলতান সপন বলেন, কৃষকরা যাতে বন্যা পরবর্তীতে তাদের ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য সরকারি প্রনোদনার পাশাপাশি স্বল্পমূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হবে। সেই সাথে তাদেরকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :