আনিস তপন: [২] রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি।
[৩] বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভূমি উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার পর বর্তমানে পাইলিং এর কাজ চলমান রয়েছে। তিন হাজারের বেশি পাইলিং এর মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৬৪ টি পাইলিং সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট কাজের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ে (জুন-২০২৩) শেষ হবে।
[৪] বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
[৫] মাহবুব আলী বলেন, ইতোমধ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর কে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার কাজ চলছে। সৈয়দপুরে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ সম্পন্ন হওয়া মাত্রই অন্যান্য কাজ শুরু করা হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের সকল অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এর নানাবিধ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
[৬] এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালের বিদ্যমান নকশায় কোন পরিবর্তন করা হচ্ছে না। নির্মাণ স্থানের মাটির অবস্থার কারণে স্ক্রুড পাইলিং এর পরিবর্তে বোর পাইলিংয়ে কাজ করা হচ্ছে। এটি একটি টেকনিক্যাল বিষয়। এর কারণে প্রকল্প ব্যয় কোনভাবেই বৃদ্ধি পাবে না বরং মোট প্রকল্প ব্যয় হতে ৭৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। সাশ্রয়কৃত এই টাকা দিয়ে সরকার ও জাইকার সম্মতি এবং অন্যান্য বিধিগত প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি সাপেক্ষে তৃতীয় টার্মিনালে নির্মিতব্য ১২টি বোর্ডিং ব্রিজের অতিরিক্ত আরো ১৪ টি বোর্ডিং ব্রিজ ও একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।