দেবদুলাল মুন্না: [২] তিরাশি বছর বয়স্কা জাপানের কেকো ওগুরা’র এখন নিরাপদ অবসর জীবন কাটানোর কথা। কিন্তু তিনি এখনও এ্যাকটিভিস্ট। বৃহস্পতিবার হিরোসিমা দিবস উপলক্ষ্যে জাপানের মোতোয়েসু নদীতে হাজার হাজার প্রদীপ ভাসিয়ে পারমানবিক বোমায় হিরোশিমা শহরের নিহতদের স্মরণ করার সময় গুগুরার নাতনি সুৎজি জানান, তার নানি পারমানবিক বোমা হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া একজন সারভাইভর ।
[৪] জাপানের হিরোশিমা শহরে আমেরিকার আনবিক বোমা হামলা চালানোর পঁচাত্তর বছর পূর্তি হলো বৃহস্পতিবার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্ত হবার পর থেকেই আমেরিকানরা বলে আসছে যুদ্ধের সমাপ্তি টানার জন্য হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমা হামলা চালানো জরুরী হয়ে পড়েছিল।
[৫] অথচ জাপানের ওই দুই শহরে বোমার বিস্ফোরণ এবং পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এক লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কেকো ওগুরা বিবিসিকে বলেন, যখন প্রথম পারমানবিক বোমাটি বিস্ফোরিত হয়, তখন হিরোশিমার শহরতলীতে নিজের বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কেকো। তিনি বলেন, ''অবর্ণনীয় শব্দ আর তীব্র আলোকচ্ছটা ঘিরে ধরে আমাকে। আমি ছিটকে রাস্তায় পড়ে যাই। তারপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আরো পরের দিকে আহত ভয়ার্ত মানুষেরা কেকোর বাড়ির আশপাশে জড়ো হতে থাকে।মনে হচ্ছিল চামড়া খুলে খুলে পড়ছিল।
[৬] তিনি বলেন, আমেরিকার এ বর্বরতা আমি জীবনেও ভুলব না। তাই আমাদের জাতি এখন বিশ্বরাজনীতি নিয়ে কোনো দ্বন্ধে লিপ্ত হয় না কারো সাথে। আমরা যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। আমি যেসব দেশে গিয়েছি একজন সারভাইভর হিসেবে সেখানে শান্তির কথাই বলেছি।
আপনার মতামত লিখুন :