শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট, ২০২০, ১১:২০ দুপুর
আপডেট : ০৬ আগস্ট, ২০২০, ১১:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] অশ্রুসিক্ত এই আবেগ একমাত্র ভালবাসারই বহিঃপ্রকাশ, বললেন মেয়র নাছির

রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের শেষ কর্মদিবসে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, ৪১ জন কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের সম্মানে চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রীতি সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। ৫ আগষ্ট বুধবার থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই প্রীতি সম্মিলনে চসিকের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ কাউন্সিলরবৃন্দ মেয়রের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। পুরো অনুষ্ঠান মঞ্চ জুড়ে সৃষ্টি হয় আবেগঘন পরিবেশ।

[৩] প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলতে শুরু করেন, মানুষের জন্য কাজ করতে পারা অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমি মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করে সেই সুযোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। দলীয় বা বিদলীয় প্রত্যেক কাউন্সিলর,সংরক্ষিত কাউন্সিলরকে আমি সমান চোখে দেখেছি। আজকের অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত অশ্রসিক্ত এই আবেগ, এই চোখের জল একমাত্র ভালবাসারই বহিঃপ্রকাশ। এটাই আমার সফলতা। মানুষের, চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তাতে মনে করি আমি সফল। আত্মতৃপ্তি নিয়ে শেষ কর্ম দিবস অতিবাহিত করছি।

[৪] তিনি বলেন, আমরা জন প্রতিনিধি। নির্বাচনে হারতেও পারি, জিততে পারি। একজন রাজনীতিকের কাছে নির্বাচন বা চেয়ার মুখ্য বিষয় নয়। রাজনীতিকের মূল মোটো মানুষের পাশে থাকা। তাদের সুখ দুঃখের ভাগিদার হওয়া। তাদেরকে আপন করে নেয়া। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্যই আমি কাজ করি আমি। মেয়র আরো বলেন, চাকরি প্রবিধান মালা ৩১ বছর ধরে ঝুলে ছিল। সাড়ে তিন বছর ধরে অনেক প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে আমি প্রবিধান মালা অনুমোদন করিয়েছি। সেখানে ১০৪৬টি পদে পদায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ৯ হাজারটি পদ সৃষ্টি করে আরো একটি অর্গানোগ্রাম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটিও অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পদোন্নতিতে আগে গ্রেডেশনের কোন বালাই ছিল না। আমি গ্রেডেশন সিস্টেম চালু করেছি। এখন থেকে গ্রেডেশন অনুযায়ীই পদোন্নতি হবে।

[৫] বিগত পাঁচ বছরে যে উন্নয়ন বা সফলতা তা আমি একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এটি সম্ভব হয়েছে আমার কাউন্সিলর,সংরক্ষিত কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে। চসিক পরিবারের সহযোগিতার কারণে এই সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। চসিকের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো: সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু মো. আযম,সালেহ আহমদ চৌধুরী,ইসমাইল বালি,আনজুমান আরা বেগম,হাসান মুরাদ বিপ্লব, চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী,প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া,প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আহমেদ,প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী,প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম চৌধুরী, ইউএনডিপি’র টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খান,চসিক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়