এম.ইউছুপ রেজা, চট্টগ্রাম : [২] মৌসুমী চামড়া বিক্রেতারা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসব চামড়া চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্রি করতে এনে দাম না পেয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে চলে গেছেন।
[৩] রোববার চামড়া ডাম্পিং করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।
[৪] তিনি জানান, রোববার রাত পযন্ত আমরা ১৫ হাজারেরও বেশি চামড়া ডাম্পিং করেছি। পরিত্যক্ত অবস্থায় এসব চামড়া এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। জানা যায়, কোরবানির পর শনিবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রয়ের আড়ত নগরীর আতুরার ডিপু এলাকায় চামড়া বিক্রি করতে নিয়ে আসেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। দুই-তিনশ’ টাকায় সংগ্রহ করা এসব চামড়া চট্টগ্রামে এনে ৫০ টাকা দামেও বিক্রি করতে পারেননি তারা। পরে রবিবার সন্ধ্যার মধ্যেই এসব চামড়া রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যান মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা।
[৫] এসব চামড়া থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চামড়াগুলি ময়লার গাড়িতে করে ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যান। সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, উপজেলা থেকে আনা কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে।
[৬] আড়তদারদের গাফিলতি ছিল। দাম কম দিতে চেয়েছে বলে এসব চামড়া অনেকে বিক্রি করতে পারেনি। এছাড়া সুন্নিয়া আহম্মদিয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রায় ৫ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে। এই চামড়াগুলো আড়তদারেরা কিনে নিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রমিকের অভাবে সঠিক সময়ে লবণ দিতে পারেনি। এভাবে প্রায় ১৫ হাজার চামড়া নষ্ট হয়েছে।
[৭] তবে আড়তদারেরা বলছেন, এবার তেমন বেশি চামড়া নষ্ট হয়নি, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পর্যাপ্ত চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। বিবিরহাট আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে বিকেলে নষ্ট চামড়াগুলো সিটি করপোরেশন সরিয়ে নেয়। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন চামড়া কেন নষ্ট হয়েছে সে বিষয়ে আড়তদারদের কাছ থেকে কৈফিয়ত চেয়েছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ