নূর মোহাম্মদ : [২] আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়েই বলা আছে কোন ক্ষেত্রে হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে আগাম জামিন নেয়া যাবে। তবে ভার্চুয়ালি আগাম জামিন থাকা উচিত না। এতে আইনজীবীদেরই সমস্যা হবে।
[৩] তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় কিছুটা অপব্যবহার হয়। আমি আইনজীবী হিসেবে বলবো, মহিলা মামলা করলে স্বামী ছাড়া বাকিদের প্রথমবারই জামিন দেয়া দরকার। আর এ বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে আপিল বিভাগ পর্যন্ত সকলেরই মানবিকভাবে দেখা উচিত।
[৪] আমাদের সময় ডটকমের ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান 'আমাদের বাংলাদেশ' এ সঞ্চালক ছিলেন অ্যাডভোকেট তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ।
[৫] সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম আমিন উদ্দিন বলেন, আগাম জামিন ভার্চুয়ালি করতে চাইলে আইনে কিছুটা পরিবর্তন দরকার হবে। কারন ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী আসামিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হয়। এটা হওয়া দরকার, কেননা অনেকে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হয়। বিশেষ করে নারী-শিশু মামলায়।
[৬] আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার আল আমিন আহমেদ বলেন, অনেক আইনজীবী বলছেন আগাম জামিনের কথা। আমি মনেকরি এটা করা দরকার। ইংল্যান্ডে রিমান্ড শুনানি হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সে। আমাদের এখানে আদালতে হাজির করতে হচ্ছে। এটা ভেবে দেখা দরকার।
[৭] আইনমন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট সীমিত পরিসরে চলছে। একে সম্পূর্ণ ক্ষমতা দিতে হলে স্বাক্ষ্য আইন, সিপিসি, সিআরপিসি পরিবর্তন করতে হবে।
[৮] গোপনীয়তা সমস্যা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বারের সভাপতি বলেন, ভার্চুয়ালি দেশের বাইরে থেকেও আইনজীবীরা অংশ নিচ্ছেন। এটা ইউনিক বিষয়। জুমে সমস্যা হওয়ার কথা শুনেছি। তবে আমাদের শুনানি হচ্ছে মাইক্রোসফট টিমে। এটা নিরাপদ। তারপরও হ্যাকড হতেই পারে। তাই কর্তৃপক্ষকে বলবো ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
[৯] আইনমন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়াল আদালতের কিছু বিষয় পাবলিকের কাছে যাওয়ায় সমস্যা নেই। তবে যেগুলো গেলে সমস্যা সেগুলো আমরা পরের ধাপে দেখবো।