রাহুল রাজ: [২] করোনাভাইরাসের প্রকোপে এখনও সবকিছু স্থবির হয়ে আছে। বাইরে বেরোনোর অবস্থা এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি। এর মাঝেই পালিত হচ্ছে ঈদুল আযহা। তবে এবারের ঈদ একেবারেই ভিন্ন। ঈদগাহে গিয়ে নামাজ পড়া, কোলাকুলি করা; এসব করার সুযোগ কম। ঈদও কাটছে ঘরবন্দি অবস্থায়।
[৩] অন্য বারের তুলনায় এবারের ঈদের আমেজ পাচ্ছে না ক্রিকেটাররা। করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা কোরবানি করবেন নিজ জেলা নড়াইলে৷ অন্যদিকে চিকিৎসা নিতে ইংল্যান্ডে যাওয়া তামিম করবেন সেখানেই। এছাড়া তাইজুল-সাইফুদ্দিনেরও একই পরিস্থিতি।
[৪] ঈদ কাটানো নিয়ে তাইজুল বলেন,“অন্যবার যেমনটা হয়, গরুর হাট নিয়ে একটা উন্মাদনা থাকে। এবার সেই আমেজটা পাচ্ছি না। হাটে গিয়েও ভালো লাগেনি। কেমন যেন মরা, মরা একটা ভাব! সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাদের আনন্দে ভাটা পড়েছে, ওরা এখন যা ইচ্ছে করতে পারছে না। আসলে আমরাই করতে দিচ্ছি না। এসব দেখে খারাপ লাগে। সব কিছু আসলে সীমিত আকারেই হয়ে গেছে।”
[৫] মাহমুদউল্লাহ জানান “ঢাকাতেই ঈদ করবো। তবে ঈদ কি আগের মতো আনন্দদায়ক হবে? তবুও চেষ্টা করবো পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যতটা আনন্দে কাটানো যায়। ক’রোনার পাশাপাশি দেশে বন্যার অবস্থাও ভালো নয়। আসলে সত্যি কথা বলতে এভাবে ঈদ করাও কঠিন।’ তাই সবার কাছে মাহমুদউল্লাহর অনুরোধ, ‘আমরা সবাই মিলে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ালে, কিছুটা হলেও বন্যাকবলিত মানুষরা উপকৃত হবেন।”
[৬] মুমিনুল হক বলেন, “ঈদটা ঢাকাতেই করছি। তবে ঈদের পর দিন কক্সবাজার যাচ্ছি। ওখানে বাবা মায়ের সঙ্গে কয়েকটা দিন কাটিয়ে তারপর ফিরবো। করোনার সময়ে ঈদতো আর ঈদের মতো হয় না, বেঁচে আছি সেটাইতো অনেক বড় ব্যাপার।”