মৌরি সিদ্দিকা: কয়েকদিন আগে আমার মা অসুস্থ খালাকে দেখতে গিয়েছিলো এবং রাতে উনি বোনের কাছেই থেকে যান।
করোনা ও সামনে ঈদ উপলক্ষে আমরা সবাই বাড়ি আসছি৷ আপু এসে কয়েকদিন পরই শ্বশুরবাড়ি চলে গেছে। তো এবার রান্নার দায়িত্ব আমার। আমি রান্নাঘরে গিয়ে তরকারি কাটছি। আমার ভাইয়ের ক্ষুধা লাগছে এবং সে একটা ডিম ভাজছে। আমার সামনে সে ভাজা ডিমটা একা একাই খাচ্ছে।
বললাম, আমাকে একটু দে।
বললো, তুই খাইলে মোটা হয়ে যাবি। খাস না। শেষে বললো, ফ্রীজে ডিম আছে। ভাইজা ভাইজা খা।
বললাম, আমাকে যদি ডিম না দিস তোর পেট খারাপ হবে। শেষে ডিমের চারভাগের এক ভাগ দিলো।
তারপর বললাম, আমি রান্না করছি একটু হেল্প কর।
বললো, পারলে রান্না কর, নাইলে নাই। আমি হেল্প টেল্প করতে পারবো না(সে রান্না বা কাটাকাটি পারে না এমনটা নয়)। আমার আবার খিদা লাগলে ডিম ভাইজা খাবো।
আমি একা একা রান্না শেষ করলাম। খেতে গিয়ে বলে, কি ক্রাইসিস! একটা তরকারি দিয়ে ভাত খাওয়া লাগে।
আমি মুনে মুনে কইলাম, তোরে সকালে মজা দেখামু৷ আমার সঙ্গে পাঙ্গা!
এরপর সকালে ইচ্ছে করে উঠিনি, শুয়ে আছি। কিন্তু ভাব দেখাচ্ছি আমি ঘুমাচ্ছি।
দশটার দিকে দেখি প্রেশারে সিটি দিচ্ছে।
এগারটার দিকে উঠে দেখি, আমার পরাণের ভাই একা একাই খিচুড়ি, ডিম ভাজি, আলু ভর্তা করছে।
বিঃদ্রঃ মেয়ে বলে রান্নার কাজ মেয়েদেরই করতে হবে এমনটা একদমই নয়। ফেসবুক থেকে