রিবেল মনোয়ার : প্রশ্ন আমি ইন্টার ফাইনাল ইয়ারের ষ্টুডেন্ট । পড়াশোনা বা অন্য কোন কিছু ভাল লাগেনা। আমার বেশিরভাগ সময় কাটে ফেসবুকে। এর থেকে বাচার উপায় কি? উত্তর: আপনি ইন্টার ফাইনাল এর ষ্টুডেন্ট । মানে আপনাকে আগামীতে বিশ^বিদ্যালয় ভর্তি হতে হবে। জীবন গড়ার এখনই উপযুক্ত সময়।
আসলে একজন শিক্ষার্থীর চাওয়া কি হওয়া উচিত? সে ফাষ্ট হবে বা স্টুডেন্টদের মধ্যে প্রথম সারিতে থাকতে হবে। এখন যদি ফেসবুক বা অন্য কোন মাধ্যমে সময় নষ্ট করে, তার প্রভাব আপনার সারা জীবনের উপর পড়বে। পড়া বাদ দিয়ে যদি আপনি অন্য কিছুর মধ্যে জড়িয়ে যান, বন্ধুত্ব করতে থাকেন অর্থাৎ যখন যে কাজ করা প্রয়োজন সেই কাজ বাদ দিয়ে আপনি যদি অন্য কিছু করেন, তাহলে আপনার জীবনে হতাশা আসবেই, আপনার জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখনকার তরুণ-তরুণীদের জীবনে এত অশান্তি কেন, এত অস্থিরতা কেন,এত অপ্রাপ্তি কেন? কারণ যে সময় যেটা চাওয়া উচিত যেটা বাদ দিয়ে তারা অন্য জিনিসের পেছনে ছুটে।
সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক শব্দ হচ্ছে এখনকার ছেলেমেয়েরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারছে না। তাদের আসক্তি বা নির্ভরশীলতা জায়গা করে নিচ্ছে বন্ধু , ফেসবুক বা টুইটার। যারা এই ভার্চুয়াল ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়েছে তাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যন্ত্র তাদের মস্তিস্ককে ভোঁতা করে দিচ্ছে। প্রযুক্তি তাদের বিকাশের পথে অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। যে শিক্ষার্থী পড়াশোনা বাদ দিয়ে আড্ডা জমিয়ে বা বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডের পেছনে ছুটে সময় নষ্ট করছে, আর যে শিক্ষার্থী ক্লাসে প্রথম হচ্ছে, এই দুজন এর ক্যারিয়ার বা কর্মজীবনের সাফল্য কি কখন এক রকম হবে? তাই যদি সুস্থ – সুন্দর জীবন চান, তাহলে পেশাগত বা শিক্ষাগত কারণ ছাড়া কেউ ফেসবুক ব্যবহার করবেন না।