কামরুল হাসান মামুন: এমতাবস্থায় আসামীগণ আগাম জামিনের আবেদন করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে যা শুনানীর জন্য ওই দিনের কার্যতালিকায় এক নম্বরে থেকেছে!! WOW না? একদম মারবো এখানে লাস পরবে সেখানে টাইপ।
টাকা পয়সা এবং ক্ষমতা যখন মিলেমিশে যায় তখন "আইন সবার জন্য সমান" কথাটি নির্বাসনে যায়। শুনেছি দিদার কিশোরদের মামলার শুনানির জন্য কত আবেদন নিবেদন কিন্তু শুনানির জন্য একটি দিন পাওয়া যায় না। আর এই সিকদার ভ্রাতাদের জন্য সরকার ও বিচারপতিরা কত সদয়? শুনেছি আগাম জামিনের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তির আদালতে উপস্থিতি ছাড়া শুনানী করা যায় না। যদি তাই হয় তাহলে এই আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে কিভাবে শুনানির জন্য এক নম্বরে যায়? যাহোক, শেষপর্যন্ত আদালতের সময় অপচয়ের জন্য বিচারপতি এদেরকে একটু ভর্ৎসনা করে ১০ হাজার পিপিই জরিমানা ধার্য্য করেছেন যা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা দিতে হবে। যাক দরবেশ বাবার একটু লাভ হলো। তার কোম্পানির পিপিই বিক্রি হবে।
সিকদার ভ্রাতাদের এতই ক্ষমতা যে তারা এই করোনা পরিস্থিতে যখন বিমান চলাচল বন্ধ বা সীমিত তখন বিশেষ ফ্লাইটে সরকারি সহযোগিতায় বিদেশে চলে যেতে পারে এবং সেখান থেকে জামিনের আবেদন করে সেটি কার্যতালিকার এক নম্বরে আন্তে পারে।