রবিউল আলম: করোনায় জনসমাগম এড়ানো জন্য অনলাইনে কোরবানির পশু বেচাকেনা ও জবাইয়ের প্রস্তুতি চলছে, এ নিয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে একটা বৈঠক হয়েছে। সেই বেঠকে আমিও ছিলাম সেই সভায়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে, সাদেক এগ্রোর ব্যবস্থাপনায় পশু কোরবানির হবে, ২৩ শতাংশ, মাংস বানানো, ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, অতি চমৎকার মনে করেই অনেক কোরবানি দাতা ঝামেলা এড়াতে অনলাইন কোরবানির উপর নির্ভর করবেন। এতে কিছুটা হলেও জনসমাগম এড়ানো যাবে। তবে সাধারণ মানুষ অনলাইন এখনো বুঝে উঠতে পারেনি। তাদের জন্য কী ব্যবস্থা? সেক্ষেত্রে একটি মাত্র স্থায়ী গরুর হাট গাবতলীর উপর নির্ভর হতে হবে কোরবানি দাতাকে। অনলাইন ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানিয়েও বলতে চাইÑ মিরপুর রূপনগর, টঙ্গির আবদুল্লাহ পুর, উত্তরা,খিলক্ষেত ও তিনশ ফিট অস্থায়ী কোরবানির হাট বিবেচনা করতে হবে। তানা হলে গাবতলি নির্ভর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কোরবানি দাতার অসহায় হয়ে পড়বেন।
বিবেচনা করতে হবে ঢাকার আসেপাশে অক্ষরজ্ঞানহীন গরিব কৃষক অনলাইন বুঝেন না। কোরবানিকে সামনে রেখে গরু লালন পালন করেছেন। সোনি, পাতিরা বেরাই থেকে গাবতলী গরুর হাটের আসতে হবে গরুটা বিক্রি করার জন্য। যদি কোনো নিরীহ মানুষ গরু নিয়ে গাবতলীতে ভুলে এসে পড়েন, তাহলে তাকে গরু নিয়ে দাঁড়ানোর , গাড়ি থেকে গরু ওঠানো-নামানোর ভাড়া দিতে হবে। বিক্রি না হলে কোরবানির ঈদের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, তার উপর ফেরত স্লিপের জন্য ইজারাদারের নির্ধারিত টাকা পরিষোদ করতে হবে। বিক্রি হলে টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা বিবেচনায় নিতে হবে। মাননীয় মেয়র আপনার অনলাইন পরিকল্পনা সুন্দর, মহৎ। তবে এ বছরই অনলাইনের উপর পুরো নির্ভর হওয়া যাবে না। এবার শুরু করতে পারেন।
লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
আপনার মতামত লিখুন :