অলক কুমার দাস : [২] প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগকারী টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যানগণ বলেন, বিগত প্রায় এক বছর যাবত উপজেলা চেয়ারম্যান আমাদের সাথে কোন সমন্বয় সভা না করে নিজের ইচ্ছামতো ব্যক্তিদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। সমন্বয় সভা না করেই উন্নয়নমূলক কাজ বন্টন করেন।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যানরা মুঠো ফোনে জানান, মন্ত্রণালয় থেকে যে স কল বরাদ্দ আসে, তা তিনি নিজের ইচ্ছা মাফিক বণ্টন করে থাকেন। আমাদের সাথে সমন্বয় করে বণ্টন তো দুরের কথা, আমাদের জানাননি তিনি। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্দী ভাতা, ১০ টাকা মূল্যের চাল, অনুদানের টাকা প্রদানসহ কোন বিষয়ই তিনি ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় করেন নি এতদিন। নিজের ইচ্ছামতো চলেছেন।
[৩] তারা আরো জানান, আমরা এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু বিগত প্রায় এক বছর যাবত আমরা এলাকার মানুষের কাছ থেকে প্রায় পালিয়ে থেকেছি।
এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানগণ বলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের সমন্বয়হীনতার কারণে একটি বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজাহান আনসারী আমাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবেন বলে কথা দিয়েছেন, সেই মোতাবেক একটি সমঝোতা হয়েছে। পরে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে প্রেরিত অভিযোগ পত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। পরে সোমবার (১৩ জুলাই) আমরা সমঝোতার মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে আগামি দিনগুলোতে একাত্ম হয়ে সমন্বিতভাবে উপজেলার সকল উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করি।
[৪] সোমবার (১৩ জুলাই) অভিযোগ প্রত্যাহারের লিখিত আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন, ১ নং মগড়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম, গালা ইউপি চেয়ারম্যান রাজ কুমার সরকার, ঘারিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল বারেক,সিলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাদেক আলী, পোড়াবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমত আলী, দাইন্যা ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাভলু মিয়া লাবু, বাঘিল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সোহাগ, কাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, হুগড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জাল হোসেন খান তোফা, কাতুলী ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ও মাহমুদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাজেদুল রহমান তালুকদার।