মো.ইউসুফ মিয়া, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : [২] গায়ের রঙ কালো, দেখতে পাহাড়ের মতো। তাই গৃহকর্তা শখ করে নাম রেখেছেন ‘কালা পাহাড়’। জন্মের পর ১৪ মাসে প্রায় ৪ টন দুধ পান করেছে কালা পাহাড়।
[৩] এটি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইলিশকোল গ্রামের কাছেদ আলী খানের গরুর খামারের ১৫শত কেজি ওজনের একটি ষাঁড়ের নাম। কোনো প্রকার কৃত্রিম খাদ্য ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে সযত্নে লালন-পালন করে বড় করেছেন কৃষক কাছেদ আলী খান। আসন্ন কোরবানীর ঈদে ন্যায্য মূল্য পেলে ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে চান তিনি। প্রায় প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ষাঁড়টিকে একনজর দেখতে আসে। তারা ষাঁড়টিকে দেখে খুশী হয়ে এর প্রশংসা করেন।
[৪] কালা পাহাড়ের মালিক কাছেদ আলী খান বলেন, ‘২০১৫ সালে খামারের পালের গাভীর গর্ভে জন্ম নেয় শংকর প্রজাতির এই ষাঁড়টি। মা গাভীটির দুধ খুব পাতলা হওয়ায় সেই দুধ কিনেতা চাইতো না কেউ। ফলে গাভীটির পুরো দুধই পান করতে দিতাম বাছুরটিকে। প্রতিদিন প্রায় ২৫ লিটার দুধ পান করতো বাছুরটি। এভাবে মায়ের সব দুধ পান করে এক বছরের মাথায় বিশালে কালো পাহাড়ে পরিণত হয় বাছুরটি’।
[৫]‘কালা পাহাড়’ এর ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো. ফজলুল হক সরদার বলেন, খামারী কাছেদ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েই ষাঁড়টিকে এতো বড় করেছে। বর্তমানে ষাঁড়টি রাজবাড়ী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ