রাজু চৌধুরী : [২] পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে দাওয়াত দিয়ে বাসায় এনে মহিলা দিয়ে অসামাজিক কর্মকান্ডের নাটক সাজিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে ০৫ জনকে আটক করেছে সিএমপি বাকলিয়া থানা পুলিশ।
[৩] পুলিশ জানায়, চাঁদাবাজির শিকার মোঃ মোজাফ্ফর(২৮) পিতা- ছগির আহাম্মদ, মাতা-সামশুন নাহার, সাং-নিশ্চিতাপুর, মোজাফ্ফর এর বাড়ী, থানা-লোহাগাড়া, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-টিলা পাড়া, মোজাফর এর বাড়ী, মহলছড়ি, থানা-মহলছড়ি, জেলা-খাগড়াছড়ি।
[৪] এই ব্যাপারে এসি (চকবাজার জোন) মোঃ রাইসুল ইসলাম জানান, মোজাফ্ফর হকার্স মার্কেটের একটি দোকানে চাকুরী করে। সেখানে চাকুরী করাকালীন আসামী মনোয়ারা বেগম মনি(৪০)দোকানে কেনা কাটার জন্য আসলে তার সাথে মোঃ মোজাফ্ফর এর পরিচয় হয় এবং এক মনোয়ারা বেগম মনি মোজাফ্ফরকে ১১ জুলাই সন্ধ্যা পর বাসায় ভাত খাওয়ার দাওয়াত দেয়। রাত অনুমান ০৮:৪৫ ঘটিকার সময় বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার কাঁচা বাজার পৌছিলে মনোয়ারা বেগম মনি (৪০) মোজাফ্ফর’কে সেখান থেকে রিসিভ করে কালামিয়া বাজার কাঁচা বাজারস্থ ইলিয়াছ ভবনের ৪র্থ তলার ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে মোজাফ্ফরকে ঐ বাসায় পূর্ব হতে অবস্থান নেওয়া অপর মহিলা মৌসুমী দাস (২০)এর সাথে এক কক্ষে বাইরে থেকে দরজা আটকে অনৈতিক কর্মকান্ডের নাটক সাজিয়ে আসামী ১। কামরুল ইসলাম (৩০), ২। ইয়াছিন আরাফাত(২২), ৩। ইফতু হোসাইন (২২)কে বাসায় ডেকে এনে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ১,০০,০০০/ (এক লক্ষ) টাকা দাবি করে। মোজাফ্ফরের মানিব্যাগে থাকা নগদ ৩,১৫০/- টাকা আসামীরা নিয়ে নেয়। তারা আরো টাকা দাবি করলে মোজাফ্ফর টাকা এনে দেওয়ার জন্য মোবাইলে কৌশলে তার মালিক সাইফুলকে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলের কথা জানিয়ে দেয় এবং বিকাশের মাধ্যমে ৮,০০০/- টাকা আসামীদের মোবাইলে পাঠায়।
[৫] মালিক সাইফুল বিষয়টি বিস্তারিত বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন-পিপিএমকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিক বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে প্রেরন করেন। বাকলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম মোজাফ্ফরকে উদ্ধার করে এবং আসামী ১। কামরুল ইসলাম (৩০), ২। ইয়াছিন আরাফাত(২২), ৩। ইফতু হোসাইন (২২), ৪। মনোয়ারা বেগম মনি (৪০), ৫। মৌসুমী দাস (২০)’গনকে গ্রেফতার করে। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন,উক্ত বিষয়ে মোঃ মোজাফ্ফর(২৮) বাকলিয়া থানায় এজাহার দায়ের করলে আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয় এবং আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ওসি নেজাম উদ্দীন আরও জানান আসামী মনোয়ারা বেগম বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে একই কায়দায় ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায়।