সুজন কৈরী : [২] পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা সার্ভিসের পরির্দশক আনোয়ার সাত্তার বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ৯৯৯ এ একজন ফোন করে জানান, তিনিসহ দশজন কিশোরগঞ্জের একটি হাওরে ট্রলার বিকল হয়ে যাওয়ায় তারা আটকে পড়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় তাদের ট্রলারটি দিক্বিদিক ভাসছিল। তিনি তাদের উদ্ধারের জন্য অনুরোধ জানান।
[৩] ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিক কলারের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের সদর দপ্তরের এএসপি, মিঠামইন থানার ওসি ও চামটাঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের কথা বলিয়ে দেয়। ওই সময় চামটাঘাট ফাঁড়ির একটি নৌ টহল দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অবস্থান চিহ্নিত করতে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পুলিশের দলটিকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো। প্রায় একঘণ্টা খোঁজাখুঁজি পর অবস্থান চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ঘাটে পৌঁছে দেয় নৌ পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা ৯৯৯ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
[৪] আনোয়ার সাত্তার জানান, শিক্ষার্থীদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছর। তারা ঢাকার সাভারের অধিবাসী এবং বিজিএমইএ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। হাওরে বেড়ানোর উদ্দেশ্য তারা ৫টি মোটর বাইকে সাভার থেকে রওনা দিয়ে দুপুরে কিশোরগঞ্জে পৌঁছান। মিঠামইনের বালিখোলা ঘাট থেকে একটি ট্রলার ভাড়া করে তাতে বাইক সহ উঠে পড়েন। আশপাশের বিভিন্ন হাওরে ঘুরে বেড়িয়ে বালিখোলা ঘাটে ফেরার পথে ঘাট থেকে ৭/৮ কি.মি. দূরে করিমগঞ্জের নাওগাং হাওরে তাদের ট্রলারের প্রপেলারের পাখা ভেঙ্গে যায়। তখন আবহাওয়া ছিলো দুর্যোগপূর্ণ, ঝড়ো হাওয়া বইছিল। ঢেউয়ের তোড়ে তাদের বিকল ট্রলারটি হাওরে দিক্বিদিক ভাসছিল। ট্রলারের মাঝি তার পরিচিত জনদের কাছে ফোনে সাহায্য চাইলেও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কেউ সাহায্য করার জন্য আসতে রাজী হয়নি। দূরবর্তী কিছু মাছ ধরার নৌকার দৃষ্টি আকর্ষে চেঁচামেচি করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। তখন তুষার নামের এক শিক্ষার্থী ৯৯৯ এ ফোন করে তাদের উদ্ধারের অনুরোধ জানান।