মহসীন কবির : [২] শনিবার (৪ জুলাই)দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা কোভিড-১৯ নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
[৩] তিনি জানান, কোভিডে মোট মারা গেছেন ১৯৯৭ জন। মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জন। মৃতদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৫ শতাংশ। ঢাকা বিভাগে ৯ জন চট্টগ্রামের ৪ জন এবং অন্যান্য বিভাগের ১৬ জন।
[৪] তিনি জানান, বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ০ থেকে ১১ বছরের মধ্যে ১ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৫ জন বাসায় ১ এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে গেছেন ৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৫৮৭ জন পুরুষ এবং ৪১০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন।
[৫] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে মোট ৬৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩৮৭১ জনের। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪৭২৭ জনের। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৪ জনের। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং এপর্যন্ত শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।
[৭] নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৭৩ জন, মোট সুস্থ হয়েছেন ৭০৭২১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
[৮] অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ৭৪৪ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ৩০ হাজার ১২৩ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৪২ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৭৪ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ৪৪৯ জন।
[৯] দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।