মো.ইউসুফ মিয়া, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : [২]এর পিছনে বিষণ্নতা, পারিবারিক কলহ, নৈতিক অবক্ষয়, রোগ-শোক ও অর্থনৈতিক সংকটকেই মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
[৩] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুন মাসের ১ তারিখ থেকে গতকাল ৩০ তারিখ পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলায় ১২, গোয়ালন্দ উপজেলায় ৪, পাংশা উপজেলায় ২, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৩ ও কালুখালী উপজেলায় ২ জন আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী।
[৪] আত্মহত্যার বিষয়ে রাজবাড়ী সরকারী আদর্শ মহিলা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তাকবীর হাসান বলেন, রাজবাড়ীর মতো ছোট একটি জেলায় এক মাসে ২৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা খুবই দু:খজনক ও অনাকাঙ্খিত।
[৫] এ সকল আত্মহত্যা রোধের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে হবে। পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে। মানসিক প্রশান্তির ব্যাপারটাও জরুরী। এগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব।
[৬] রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.দীপক কুমার বিশ্বাস বলেন, গত কয়েক মাসের চেয়ে জুন মাসে আত্মহত্যার ঘটনা বেশী ঘটেছে। করোনা প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া, হতাশা, বিষণ্নতা, নৈতিক অবক্ষয়, পারিবারিক অশান্তি-এসবই আত্মহত্যার মূল কারণ।
[৫] এসব অপমৃত্যুর কারণ হিসেবে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, তুচ্ছ কারণেও অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়া, ব্যবসায়ীক ক্ষতি, অভিভাবকের কাছে কোন কিছুর আব্দার করে না পাওয়া, পারিবারিক কলহ-এসবের জন্যই দিন দিন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।
[৬] রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান পিপিএম-বার বলেন, রাজবাড়ীতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশী। এটা প্রতিরোধে জেলা পুলিশ কাজ করছে। কেন এই জেলার মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে সে ব্যাপারে আমরাও চিন্তায় আছি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ