আদালত প্রতিবেদক : [২] ফটো সাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে রাজধানীর হাজারিবাগ থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
[৩] শুনানি শেষে রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম (ভার্চুয়াল কোর্ট) দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন। মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. রাসেল মোল্লা সাংবাদিক কাজলের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। কারাগার থেকেই তাকে উপস্থিত দেখানো হয়।
[৪] সাংবাদিক কাজলের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন।রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
[৫] গত ১০ মার্চ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সম্পাদক উসমিন আরা বেলী মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে নিয়ে শফিকুল ইসলাম কাজল নানাবিধ স্ট্যাটাস দিতে থাকেন। বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে অসত্য খবর প্রচার করতে থাকেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকসহ বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, যুব মহিলা লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ শতাধিক নারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর, আপত্তিকর, বানোয়াট তথ্য আপলোড করেন। তার আসল উদ্দেশ্যে ফেসবুকে এসব মিথ্যা তথ্য আপলোডের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা এবং চাঁদাবাজি করা।
[৬] উল্লেখ্য, ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের ‘পক্ষকাল’ অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি। পরদিন (৩ মে) অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির দায়ের করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। এদিকে ২৪ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আরেক মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
আপনার মতামত লিখুন :